১৯৯১ সালে বলিউড কাঁপিয়ে 'পাত্থর কে ফুল' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন রবিনা ট্যান্ডন। সেই সময়ে ওই ছবিতে সলমন খানের সঙ্গে তাঁর জুটি বেশ প্রশংসিতও হয়েছিল দর্শক-সমালোচকদের মধ্যে। এমনকি ফিল্মফেয়ারের 'সেরা নবাগতা'-র পুরস্কারটি এই ছবিতে অভিনয় করার সুবাদেই ঝুলিতে পুরেছিলেন এই বলি-সুন্দরী। তবে জানেন কি 'পাত্থর কে ফুল' ছবির গোটা শ্যুটিং চলাকালীন এতটুকুও সদ্ভাব ছিল না রবিনা ও সলমনের মধ্যে? পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ভরা সেটের মাঝে চিৎকার করে সলমন জানিয়েছিলেন নিজের কেরিয়ারে তিনি আর কোনওদিনও এই অভিনেত্রীর সঙ্গে অন-স্ক্রিন আসবেন না!
সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য মজার ছলে নিজেই ফাঁস করেছেন 'মোহরা' ছবির নায়িকা। জানিয়ে রাখা ভালো ওই ছবির পরিচালক ছিলেন অনন্ত বালানি এবং গল্প লিখেছিলেন সলমনের বাবা তথা বিখ্যাত বলি-চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। 'পিঙ্কভিলা'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে রবিনা জানিয়েছেন যে ছবির শ্যুটিংয়ে চলার মাঝে প্রায় সময়ই তাঁদের ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকত।
অভিনেত্রীর কথায়, 'আমরা তখন যেন অনেকটা সেই স্কুলের বাচ্চাদের মতো ছিলাম, যারা সবকিছু নিয়েই ঝগড়াঝাঁটি করতে ভালোবাসে। আমি তখন সবে ১৬ পেরিয়েছি আর সলমন ২৩, তাই বুঝতেই পারছেন আমাদের মানসিকতাটা। তাছাড়া আর সলমন আর আমার স্বভাব চরিত্রেও বেশ মিল ছিল। দু'জন্যেই যথেষ্ট একগুঁয়ে ছিলাম। দু'জনেই আগে থেকে পরস্পরকে চিনতাম। আমার বাবা এবং সেলিম আঙ্কেল এক জায়গাতেই কাজ করতেন। সেখানেও আমরা ঝামেলা পাকাতাম। তাই একপ্রকার বাড়ির ঝামেলা যেন সেটে নিয়ে আসতাম আমরা। এতটাই সমানে ঝগড়া করে চলতাম আমরা যে সলমন তো একবার প্রায় চিৎকার করে ঘোষণা করে দিয়েছিল যে সে কখনওই আর আমার সঙ্গে কোনও কাজ করবে না!' সামান্য থেমে মজার সুরে রবিনা জানান অবশ্য এর কিছু সময় পরপরই 'আন্দাজ আপনা আপনা' ছবিতে ফের একসঙ্গে কাজ করি আমি আর সলমন। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া 'কহি প্যায়ার না হো যায়ে' ছবিতেও একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন এই জুটি।