৯০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেত্রী ছিলেন রবিনা টন্ডন। একটার পর একটা সুপারহিট, হিট ছবিতে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। ‘দিলওয়ালে’ থেকে ‘মোহরা’, ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’, ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’, ‘দুলহে রাজা’র মতো একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। একাধিক আইটেম গানে নাচ করার অফারও পেয়েছিলেন তিনি সেই সময়। এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটির অফার প্রথম তাঁর কাছেই গিয়েছিল কিন্তু তিনি সেই অফার ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীকালে ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটির জন্য জনপ্রিয় হন মালাইকা আরোরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী অনেক চিত্র পরিচালক নাকি রবিনার কাছে তাঁদের ছবিতে আইটেম গানে নাচ করার জন্য অফার নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সমস্ত অফার তিনি ফিরিয়ে দেন স্রেফ আইটেম গার্লের তকমা নিজের গায়ে লাগাবেন না বলেই। যদিও সেই সময় আসা দারুণ দারুণ অফার রিজেক্ট করে এখন রীতিমত আফসোস করেন অভিনেত্রী। এমনটাই সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
রবিনা সম্প্রতি বলেছেন সুপারহিট গান ‘ছাইয়া ছাইয়া’র অফার তাঁর কাছে এসেছিল। মণিরত্নমের দিল সে ছবির জন্য তিনিই প্রথম পছন্দ ছিলেন পরিচালকের কিন্তু তিনি তখন সেই অফার ফিরিয়ে দেন। এরপর মালাইকাকে বাছা হয় এই ছবির জন্য।
প্রসঙ্গত ১৯৯৪ সালে ‘পাথর কে ফুল’ ছবি দিয়ে ডেবিউ সারেন রবিনা। এরপর তাঁকে একাধিক ড্যান্স নম্বরে দেখা গিয়েছে যেগুলো হিট করেছিল। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত’, ‘টিপ টিপ বরসা পানি’, ইত্যাদি। এই গানগুলোতে তাঁর নাচের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে গোটা ভারত। আর এরপর থেকেই তাঁর কাছে একাধিক আইটেম গানে নাচার অফার আসতে থাকে। কিন্তু তিনি তখন সেই সব অফারকে ফিরিয়ে দেন। অভিনেত্রী সেই সময় চাননি তাঁর ভাবমূর্তি বা কেরিয়ারে এটার জন্য কোনও প্রভাব পড়ুক।
এই সাক্ষাৎকারে ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটির বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'এখন আফসোস হয়। মণি স্যার, শাহরুখ দুজনেই আমায় ফোন করেছিল গানটি করার জন্য। কিন্তু আমি তখন চাইনি আমার সঙ্গে আইটেম গার্ল ভাবমূর্তিটা জুড়ে যাক।'
তবে কেবল ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটি নয়। করণ জোহরের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির অফারও ফিরিয়েছিলেন তিনি। রানি মুখোপাধ্যায়কে যে চরিত্রে দেখা গিয়েছিল, অর্থাৎ টিনার চরিত্রের জন্য তাঁকেই প্রথম ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কাজলের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ কোনও চরিত্রে কাজ করতে চাননি তখন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি তখন সবে একটা বিরতি কাটিয়ে কাজে ফিরছি। আমি চাইনি কোনও কম গুরুত্বের ছবি করতে। বরং আন্দাজ আপনা আপনা বা মোহরা ছবিতে আমায় যেভাবে দেখা গিয়েছিল সেভাবে ফিরতে চেয়েছিলাম। আমি এমন ছবি চাইছিলাম যেখানে আমি একমাত্র নায়িকা থাকব। কিন্তু এই অফার ফিরিয়ে দেওয়ার কষ্ট আমার আজও হয়।'