Raveena Tandon: ‘বাচ্চাকে ধাক্কা দিচ্ছেন কেন? সাবধান!’ সেলফির নামে মেয়েকে ধাক্কা, বিরক্ত রবিনা

রবিনা দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি অবধি পৌঁছোন, সেখানেও সেলফির জন্য ঠেলাঠেলি বন্ধ হয়নি। এক ব্যক্তি সেলফি তুলতে গিয়ে রাশাকে ফের ঠেলে একপাশে সরিয়ে দেন। বিষয়টি নজর এড়ায় নি রবিনার। অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ‘সাবধানে, দয়া করে ধাক্কা দেবেন না ভাইসাব, বাচ্চদের ধাক্কা দেবেন না।’

বিমানবন্দরে মেয়ে রাশার সঙ্গে রবিনা

পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। বুধবার, ৫ এপ্রিল দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিনাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অভিনেত্রীর সঙ্গে গিয়েছিলেন স্বামী অনিল থাডানি, দুই ছেলেমেয়ে রাশা ও রণবীর। অনুষ্ঠান শেষে ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মুম্বই ফেরেন তাঁরা।

ওইদিন মুম্বই বিমানবন্দরে নামতেই রবিনাকে বারবার ঘিরে ধরতে থাকেন সেলফি সংগ্রহকারীরা। রবিনার সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে একজন তাঁর মেয়ে রাশাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন। এই পরিস্থিতিতে রাশা ও রণবীর মায়ের থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে হাঁটতে থাকেন। অন্যদিকে, রবিনা কথা বলতে থাকেন পাপারাৎজির সঙ্গে, বহুমানুষের অনুরোধে সেলফি বন্দিও হতে থাকেন। শেষপর্যন্ত রবিনা দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি অবধি পৌঁছোন, সেখানেও সেলফির জন্য ঠেলাঠেলি বন্ধ হয়নি। এক ব্যক্তি সেলফি তুলতে গিয়ে রাশাকে ফের ঠেলে একপাশে সরিয়ে দেন। বিষয়টি নজর এড়ায় নি রবিনার। অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ‘সাবধানে, দয়া করে ধাক্কা দেবেন না ভাইসাব, বাচ্চাদের ধাক্কা দেবেন না।’

যদিও এরপরে ফের পাপারাৎজির সঙ্গে সাবলীলভাবেই কথা বলেন রবিনা ট্যান্ডন। জানান, খুব শীঘ্রই তিনি একটা পার্টি দেবেন। তিনি ভীষণই খুশি। একজন আবার রবিনার মাথার খোঁপায় লাগানো ফুলের প্রশংসা করে বসেন। রবিনা জানান, খোঁপায় ফুল লাগানো তাঁর ভীষণই পছন্দের, সুযোগ পেলেই তিনি এভাবে সাজেন।

এদিকে পদ্মশ্রী পাওয়ার পর রবিনা ANI-কে বলেন, ‘আমি সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ। ভারত সরকার অনেক ধন্যবাদ, আমার অবদান, আমার জীবন, আমার আবেগ, উদ্দেশ্য, সিনেমা এবং শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। বে শুধু সিনেমা এবং শিল্পকলা নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার অনুমতি সরকার আমায় দিয়েছে। আমি এই যাত্রাপতে যাঁরা আমার হাত ধরেছিলেন, যাঁরা আমাকে পথ দেখিয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আর আমাকে যে কোনও বিষয়ে যিনি পথ দেখিয়েছেন তিনি হলেন আমার বাবা. আমি আমার বাবার কাছে ঋণী।’