মধ্যে চল্লিশ পেরোলেও রবিনা টন্ডনের রূপ এখনও ঈর্ষণীয় বহু যুবতীর কাছে। তাঁর সৌন্দর্য্যে জৌলুসে এখনও চোখ ফেরানো দায়। তবু এই বয়সেই তাঁকে শুনতে হয় 'দিদিমা' ডাক। কোনও ট্রোলিং নয় কিন্তু। একেবারে ষোলো আনা সত্যি কথা! কেন এই ডাক শুনতে হয় তাঁকে সেকথা নিজেই খোলসা করে জানলেন এই বলি-অভিনেত্রী। ১৯৯৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই দুই মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন রবিনা।পূজা এবং ছায়া। তাঁদের মধ্যে তখনই পূজার বয়স ছিল ১১। তাই পূজার কাছে যতটা না মা ছিলেন রবিনা তাঁর থেকে বেশি ছিলেন বন্ধু। বর্তমানে পূজা এবং ছায়া দু'জনেই বিবাহিত ও সন্তান রয়েছে তাঁদের। তাই হিসেবমতো সম্পর্কে পূজা ও ছায়ার সন্তানরা তাঁর নাতনি। গোটা প্রসঙ্গে রবিনা জানিয়েছেন,'ঠাকুমা','দিদিমা' প্রভৃতি শব্দগুলো শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে সত্তর-আসি বয়স্ক বৃদ্ধাদের মুখ। কিন্তু পূজার সঙ্গে যেহেতু আমার বয়সের ফারাকটা যথেষ্টই কম তাই এই পরিস্থিতি। পাশাপাশি পূজার সঙ্গে আমার জমাটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও ওঁর কাছে যেহেতু আমি মায়ের মতোই তাই ওঁর সন্তানরা যে আমাকে দিদিমা বলে ডাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।'
প্রসঙ্গত,এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে এই বলি-অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি যখন পূজা ও ছায়াকে দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন অনেকেই তাঁকে বাধা দিয়েছিল। রবিনাকে সাবধান করা হয়েছিল এই বলে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে। এমনকি 'বিবাহযোগ্যা পাত্রী' হিসেবেও কমে যেতে পারে তাঁর দর। তবে সেসব তিনি পাত্তা দেননি।রবিনার মতে,' পূজা ও ছায়াকে দত্তক নেওয়া আমার জীবনের অন্যতম সঠিক পদক্ষেপ!' বর্তমানে পূজা একজন সফল ইভেন্ট ম্যানেজার এবং ছায়া পেশায় এক বিমান সেবিকা। অন্যদিকে ছবি পরিবেশক অনিল ঠাডানিকে বিয়ে করেছেন রবিনা। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে।