সালটা ১৯৯৪, মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমার-রবিনা ট্যান্ডনের ‘মোহরা’ ছবিটি। এখনও বারবার আলোচনায় উঠে আসে এই ছবি। যার অন্যতম কারণ ছবির 'টিপ টিপ বরসা পানি' গান। হলুদ রঙের পাতলা শাড়ি পরে বৃষ্টিতে ভিজে অক্ষয়ের সঙ্গে রবিনার রোম্যান্স, তাঁর সেই আবেদনময়ী শরীরী বিভঙ্গ দেখে পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারেননি বহু দর্শক। সম্প্রতি সাক্ষৎকারে সেই গানটি নিয়েই মুখ খুলেছেন রবিনা। রবিনার কথায়, গানের শ্য়ুটিংয়ের সময় গানটি কতটা কামুকতায় ভরা হবে তা নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন।
রবিনা বলেন, ‘গানটি বেশ সংবেদনশীল ছিল, তবে এতে প্রকাশ্য যৌনতার কিছুই ছিল না। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যৌনতা এবং কামুকতার একটা হালকা পার্থক্য রয়েছে। এটা মুখের অভিব্যক্তিতে ধরা পড়ে।’ রবিনার কথায়, কেউ সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখলেও তাঁকে 'সেক্সি' দেখতে পারে, আর এটি নির্ভর করে তাঁর মুখের অভিব্যক্তির উপর।
আরও পড়ুন-দুই মেয়েকে দত্তক নেওয়ার পর শুনতে হয়েছে, ওরা আসলে আমারই গোপন সন্তান: রবিনা
আরও পড়ুন-ফের মুঘল স্তুতি! স্কুলের পাঠ্যবই বদলে ফেলা নিয়েও শাসক দলকে তোপ নাসিরুদ্দিনের
রবিনা জানান, 'টিপ টিপ বরসা পানি' গানের শ্যুটিংয়ের সম নির্মাতাদের একাধিক শর্ত চাপিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'বেশকিছু বিষয়ে আমি আমার মতামত স্পষ্ট করেছিলাম। বলেছিলাম কোনওভাবেই যেন শাড়ি না খোলে, চুমুও খাওয়া যাবে না, এছাড়াও এটা হবে না, ওটা হবে না বলে অনেক শর্ত চাপিয়েছিল। সুতরাং, এই গানটিতে টিক চিহ্নের পরিবর্তে ক্রস চিহ্নই বেশি ছিল। অবশেষে টিপ টিপ বরসা পানি এমন একটা কিছু দাঁড়ায় যেখানে যৌন আবেদন, কামুকতার মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় ছিল।
এর আগে বলিউড এক সাক্ষাৎকারে 'মোহরা' ছবির চিত্রনাট্যকার সাব্বির বক্সওয়ালা বলেছিলেন, তিনি জানতেন যে এটা একটা ভাল ছবি হবে, তবে আতঙ্কিত ছিলেন কারণ ছবিতে ‘টিপ টিপ বরসা পানি’র মতো একটা গান ছিল। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর বাবা কোনওভাবেই এটা ঠিক মানতে পারবেন না।। তখন তাঁকে পরিচালক রাজীব রাই বলেন, ‘এই ছবিটা নাহয় তোমার বাবাকে দেখিও না’! তখন অবশেষে তিনি রাজি হন।
'মোহরা'তে অক্ষয় কুমার, রবিনা ট্যান্ডন ছাড়াও ছিলেন সুনীল শেঠি এবং নাসিরুদ্দিন শাহর মতো অভিনেতারা। ছবিটি বক্স অফিস হিট হওয়ার পাশাপাশি, সিনেমার ‘টিপ টিপ’ এবং ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’ গানদুনিও ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়।