প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে করোনা মোকাবিলায় সংহতি প্রদর্শনের কর্মসূচীতে ব্যাপক হারে সাড়া দেন দেশবাসী। ৫ এপ্রিল, রবিবার ঠিক রাত ৯টায় আলো নিভতেই প্রদীপ-মোমবাতি-মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটে ঝলমলিয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। করোনার অন্ধকার দূর করে দেশবাসীর মনে আশার প্রদীপ জ্বালানোর এই উদ্যোগ যে সত্যি সফল তার প্রমাণ ফের একবার মিলল। মোদীর এই কর্মসূচীর জেরে প্রাইম টাইমের ওই স্লটে টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যায় রেকর্ড পতন ঘটল। ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের সাম্প্রতিকতম রেকর্ড তেমনটাই বলছে। এই কর্মসূচীর জেরে ওই টাইম স্লটে যে পরিমাণ দর্শক টেলিভিশন দেখছে তা গত পাঁচ বছরে (২০১৫ সাল থেকে) সবচেয়ে কম। গত সপ্তাহের তুলনায় ওই সময় ৬০ শতাংশ মানুষ কম টেলিভিনশ দেখেছেন। এই ব্যাপক হারে দর্শক সংখ্যার পতন শুরু হয়েছিল রাত ৮.৫৩ নাগাদ এবং তা জারি ছিল রাত সাড়ে ন'টা পর্যন্ত। পাশাপাশি BARC-এর রিপোর্টে এও বলা হয়েছে ৩ এপ্রিল সকালে দেশবাসীর উদ্দেশে সংহতি ও একতার যে বার্তা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন তা টিভিতে দেখেছেন প্রায় এক কোটি মানুষ। যদিও এই সংখ্যাটা প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ভাষণের চেয়ে অনেক কম। সেদিন প্রায় দু কোটি মানুষ মোদীর ভাষণ দেখেছিলেন টিভির পর্দায়।
২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল, এই সময়কালের মধ্যে টেলিভিশনের সামগ্রীক দর্শক সংখ্যা ৪ শতাংশ বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায়। এবং করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগের থেকে প্রায় ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিনেমা এবং সংবাদ চ্যানেলগুলোর দর্শক সংখ্যাও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। টিভিতে সিনেমার দর্শক সংখ্যা একলাফে ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি স্মার্টফোনে নানা ধরণের সিরিজের অডিয়েন্স বেড়েছে ৩২ শতাংশ। ৩-রা এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে দর্শক সংখ্যার বিচারে গোটা দেশে পয়লা নম্বরে থাকা চ্যানেল- দূরদর্শন। মূলত রামায়ণ এবং মহাভারতের মতো ক্লাসিক ধারাবাহিকগুলোর কাঁধে ভর দিয়েই BARC-এর তালিকায় এক নম্বরে উঠে এল দূরদর্শন।