বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা তাঁর বাবা তথা অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং স্বামী জাহির ইকবালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি ঘরোয়া পার্টির আয়োজন করেছিলেন। শত্রুঘ্ন সিনহার জন্মদিন ৯ ডিসেম্বর এবং সোনাক্ষীর স্বামী জাহির ইকবালের জন্মদিন ছিল ১০ ডিসেম্বর। শ্বশুর-জামাইয়ের পরপর জন্মদিন, তাই সিনহা পরিবারে ছিল উৎসহবের আমেজ। আরও পড়ুন-মাত্র ৬ মাসেই বন্ধ হচ্ছে মালাবদল! সিরিয়াল শেষের জল্পনা নিয়ে কড়া জবাব ‘ঘটকদিদি’ ঋতুর
সোনাক্ষী তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি সেই জন্মদিনের পার্টির অন্দরে ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে সিনহা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে দেখা গেলেও সোনাক্ষীর দুই ভাই লভ ও কুশকে দেখা যায়নি। ভিনধর্মে বোনের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তাঁরা। সেই কথা আর গোপন নেই। সোনাক্ষীর বিয়ের কোনও অনুষ্ঠানেও সামিল হয়নি তাঁর দুই দাদা। তবে মেয়ের পাশে থেকেছেন শক্রঘ্ন-পুনম।
শত্রুঘ্ন সিনহার জন্মদিনের পার্টিতে হাজির ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখাও। শক্রঘ্ন ঘরণীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রেখা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শত্রুঘ্নকে দেখতে পেতেই ছুটে তাঁর কাছে যান রেখা। তিনি প্রথমে তাঁর পা স্পর্শ করে আর্শীবাদ নেন এবং তারপরে তাঁকে জড়িয়ে ধরে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। আপনাদের জানিয়ে রাখি, রেখা ও শত্রুঘ্নের মধ্যে মাত্র আট বছরের ব্যবধান। রেখার বয়স ৭০ বছর এবং শত্রুঘ্ন সিনহর বয়স ৭৮ বছর। 'খুন ভরি মাং', 'রামপুর কা লক্ষ্মণ'-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দু'জনে।
রেখা পার্টিতে ঢোকার পর সোনাক্ষীর মা পুনম সিনহা মাইক হাতে নিয়ে বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই যে আমার সোল-সিস্টার এসেছে। সকলে তাঁকে স্বাগত জানান দয়া করে’। এরপর সোনাক্ষীর স্বামী জাহির রেখার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন।
সেলিব্রেশনের ফাঁকে একটি নস্টালজিক মুহূর্ত ভিডিওতে ধরা পড়েছে, যেখানে সোনাক্ষী ভিনটেজ ফিল্ম ম্যাগাজিনের একটি সংগ্রহ প্রদর্শন করেছিলেন। প্রতিটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁর বাবা শত্রুঘ্নের ছবি ছাপা হয়েছে। সত্তরের দশকের ফিল্মি ম্যাগাজিনের কভারে বাবাকে দেখে জিয়া নস্টাল নায়িকার। সমম্ভব জন্মদিনে পার্টিতে কেউ শক্রঘ্নকে উপহার হিসেবে ম্যাগাজিনগুলো দিয়েছে।
সোনাক্ষী এবং জাহিরের বিয়ে
৭ বছর ধরে প্রেম করার পর গত ২৩শে জুন বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করেন সোনাক্ষী-জাহির। নিকটতম বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গেই বিয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন দুজনে। যদিও সেই বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
রেট্রো লেহরেনের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, শত্রুঘ্ন মেয়ের বিয়েতে তাঁর দুই ছেলের অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও অভিযোগ করব না। তারাও রক্তমাংসের মানুষ। তারা হয়তো এখনো অতটা পরিপক্ক হতে পারেনি। আমি তাদের দুঃখ ও কষ্ট বুঝি। সাংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া সবসময়ই থাকবে। আমি যদি তাদের বয়সী হতাম, তাহলে হয়তো আমারও একই রকম প্রতিক্রিয়া হতো। কিন্তু, এখানেই আপনার পরিপক্কতা, জ্যেষ্ঠতা এবং অভিজ্ঞতা স্থান পায়। তাই আমার প্রতিক্রিয়া আমার ছেলেদের মতো চরম ছিল না।’