বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > প্রয়াত সংগীত শিল্পী মিতা হক, চার দিন আগেই করোনা মুক্ত হন তবুও…

প্রয়াত সংগীত শিল্পী মিতা হক, চার দিন আগেই করোনা মুক্ত হন তবুও…

চলে গেলেন মিতা হক (ছবি- সংগৃহীত)

করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন মিতা হক। মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই থমকে গেল এক সুরেলা সফর। 

চলে গেলে রবীন্দ্র সংগীতের দুনিয়ার পরিচিত নাম মিতা হক। ওপার বাংলার এই জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে আজ (রবিবার) ভোরে। এদিন ঢাকার এক হাসাপাতালে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৫৯ বছর বসয়ী শিল্পী। করোনা আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি, চার দিন আগে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবুও শেষরক্ষা হল না। 

বাংলাদেশি সংবাদপত্র প্রথম আলোকে মিতা হকের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তাঁর জামাই মুস্তাফিদ শাহিন। পরিবার সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী, নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলত। করোনার জেরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। 

১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্ম মিতা হকের। এই খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তাঁর মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। খুব অল্প বয়স থেকেই রবীন্দ্র সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন মিতা। বাড়িতেই ছিল সংগীতের মহল। প্রথমে কাকা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মহাম্মদ হোসেন খান ও সনজিদা খাতুনের কাছে গান শেখেন মিতা। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে মুক্তি পেয়েছিল মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’।

সব মিলিয়ে দীর্ঘ মিউজিক্যাল কেরিয়ারে প্রায় ২০০টির বেশি রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করেছেন মিতা হক। মুক্তি পেয়েছে ২৪টি অ্যালবাম, যার মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে মিতা হককে। 

এদিন শেষ শ্রদ্ধার জন্য ছায়ানটে শায়িত রাখা হবে শিল্পীর মরদেহ। পরিবার সূত্রে খবর, আজই কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় কবরস্থ করা হবে মিতা হককে। 

বন্ধ করুন