আবারও শোকের ছায়া বাংলা সংস্কৃতি জগতে। প্রবাদপ্রতিম বাচিক শিল্পী, আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষ আর নেই। বাংলা আবৃত্তি জগতের এই নক্ষত্র আজ ভোরে চলে গেলেন। জানা গিয়েছে যোধপুর পার্কের বাড়িতেই প্রয়াত হন তিনি, উপসর্গহীন কোভিডে-১৯ ভুলছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
শিল্পীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘বিশিষ্ট আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমি প্রদীপ ঘোষের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’।
সরকারি চাকুরিজীবী এই মানুষটির সংস্কৃতির প্রতি গভীর টান ছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগে যুগ্ম তথ্য অধিকর্তা হিসাবে দক্ষতার সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রদীপ ঘোষ। শিল্প-সংস্কৃতির আঙিনায় তাঁর ছিল স্বচ্ছন্দ বিচরণ।রাজ্য সরকাল ২০১৭ সালে তাঁকে কাজী সব্যসাচী পুরস্কার প্রদান করেছিল।
প্রদীপ ঘোষের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা সংস্কৃতি জগতে। একটা স্বর্নিম অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। প্রদীপ ঘোষের কণ্ঠস্বর, বলার ভঙ্গি, উচ্চারণের স্পষ্টতা মুগ্ধ করেছে দশকের পর দশক ধরে। নজরুল পুত্র কাজী সব্যসাচীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে বহু কবিতা পাঠ করেছেন তাঁরা। কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার কৈফিয়ৎ’ বা বুদ্ধদেব বসুর ‘জোনাকি’-র মতো কবিতা প্রদীপ ঘোষের কন্ঠে আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি।
প্রদীপ ঘোষের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, জগন্নাথ বসু, দেবাশিস বসুরা।