তাঁর বাবা মায়ের যখন বিচ্ছদ হয়, তখন রেণুকা শাহানে অনেক ছোট। পরবর্তী সময়ে নিজের বিয়েও ভেঙে গিয়েছিল। তাঁর বিয়ে নাম প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিশেষ ভালো ধারনা ছিল না অভিনেত্রীর। তবে বয়স যখন ৩০-এর কোটায় তখন আবারও প্রেমে পড়েছিলেন রেণুকা। দ্বিতীয়বার যখন তিন বিয়ে করেন, তখন তাঁর বয়স অনেকটাই বেড়েছে। তাই সম্পর্ক সামলানোর বিষয়ে রেণুকা তখন অনেক পরিণত। সম্প্রতি বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ থেকে নিয়ের বিয়ে ভাঙা, নতুন করে ঘর বাঁধা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী রেণুকা শাহানে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রেণুকা শাহানে নিজের জীবন নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁর কথায়,'ছোটবেলায় আমি সকলকে খুশি করে চলতাম, মনে হত সকলে বলবে এ ভাঙা পরিবার থেকে এসেছে। স্কুলে যখন গেলাম অনেকে বলত ওর সঙ্গে খেলিস না, ওর বাবা-মা আলাদা। এমনকি শিক্ষকরাও ভালো ছিলেন না। মায়ের পদবী নিয়ে আমায় জিগ্গেস করে মজা পেতেন। এই বিষয়গুলিই আমি আমার ছবি ত্রিভঙ্গ-তে তুলে ধরেছি। সবই আমার জীবন থেকে তুলে ধরা হয়েছে অতিরঞ্জিত কিছু নেই।' প্রসঙ্গত রেণুকার 'ত্রিভঙ্গ'-তে অভিনয় করেন কাজল। প্রসঙ্গত রেণুকার বাবা বিজয় সাহানে নৌ-বাহিনরীর আধিকারিক ছিলেন। আর মা শান্তা গোখেল ছিলেন লেখিকা।

আশুতোষ-রেণুকা
১৯৯৪ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ছবি হাম আপকে কৌন-এর মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন রেণুকা শাহানে। ২০০৬ সালে মারাঠি ছবি রীতা-র হাত ধরে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। মারাঠি লেখক বিজয় কেঙ্কারেকে বিয়ে করেন রেণুকা। তাঁর সঙ্গে বিয়েটা টেকেনি। পরবর্তী সময় আশুতোষ রানার প্রেমে পড়েন ও তাঁকে বিয়ে করেন রেণুকা। দ্বিতীয় বিয়ে যখন হয় তখন রেণুকার বয়স ৩৪-৩৫। আগের সম্পর্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে আশুতোষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী, পরিচালক রেণুকা। তাঁদের দুই সন্তান শৌর্যমান ও সত্যেন্দ্রকে নিয়ে আশুতোষের সঙ্গে এখন সুখে সংসার রেণুকার।