কেউ তাঁকে ফোন করে হুমকি দেয়নি প্রাণে মারবার, কারুর সঙ্গে তাঁর শক্রুতা নেই মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে এমনটা জানিয়েছেন সলমন খান। তবে ভাইজানের সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখছে না মুম্বই পুলিশ। শুধু প্রাণে মারার হুমকি চিঠিই নয়, শার্প শ্যুটার দিয়ে অভিনেতাকে মেরে ফেলবার ছক কষেছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, এমনটাই উঠে এল তদন্তে। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই, আপতত তিহার জেলে বন্দি সে। কিন্তু তাতে কী! জেলে বসেই অন্ধকার দুনিয়ার রাজপাট চালাচ্ছে সে। এই গ্যাংয়ের পরবর্তী টার্গেট সলমন খান, তেমনটাই সূত্রের খবর।
গত রবিবারই হুমকি চিঠি পেয়েছেন দাবাং খান। উড়ো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সিধু মুসেওয়ালার মতোই পরিণতি হবে, তোমার’। প্রাণে মারার এই হুমকি সলমনকে দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং, এমনটাই ধারণা পুলিশের।
পুলিশের দাবি, পরিকল্পনা মতো সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টে রেইকিও চালিয়েছিল গ্যাংস্টারের দলবল। দিনেদুপুরেই সলমনকে শ্যুট করবার প্রস্তুতি সেরেছিল। সলমন খান মুম্বইয়ে থাকলে সকালে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ান প্রকাশ্য রাস্তায়। সেইসময় নিরাপত্তারক্ষীরাও থাকে না সঙ্গে, সেই সময়েই সলমনকে হত্যার জন্য বেছে নেয় অপরাধীরা। হকি স্টিকের মধ্যে ছোট্ট অস্ত্র লুকিয়ে সলমনের উপর হামলায় ছক তৈরি হয়, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই প্ল্যান ভেস্তে যায় শার্প শ্যুটারের। সামনে থেকে এক নিরাপত্তারক্ষীকে হেঁটে আসতে দেখে ধরা পড়বার ভয়ে পালিয়ে যায় সে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
যদিও পুলিশি জেরায় সলমনকে হুমকি চিঠি পাঠানো বা প্রাণে মারার ছক কষার কথা অস্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই। এর আগে ২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেই সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলবার হুমকি দিয়েছিল এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার।
রাজস্থানের এই শার্প শ্য়ুটারের দীর্ঘদিনের টার্গেট সলমন খান। কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না মুম্বই পুলিশ, তাই আঁটোসাটো করা হয়েছে ভাইজানের নিরাপত্তা। হিন্দুস্তান টাইমসকে এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সলমন খানের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। ওঁনার অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশেও ২৪ ঘন্টা পুলিশি টহল থাকবে, যাতে রাজস্থানের এই গ্যাং কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে’।