বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম পরিচিত নাম তিয়াসা রায়, যাঁকে 'কৃষ্ণকলি'র শ্যামা নামেই লোকে একডাকে চেনে। কেরিয়ার শুরুর আগেই অভিনেতা সুবান রায়ের সঙ্গে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন তিয়াসা। মাসকয়েক ধরেই টেলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সুবনা-তিয়াসার সংসারে নাকি ভাঙন ধরেছে। ধারাবাহিকের অগাধ সাফল্যই নাকি দুজনের সুখী গৃহকোণে তিক্ততা এনে দিয়েছে। এই গুঞ্জন গত কয়েক সপ্তাহে বেশ মাথাচাড়া দিয়েছে।
সুবানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিয়াসা। এই সম্পর্কে এক সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই গল্প তো নতুন নয়। অনেক দিন ধরেই আমাদের নিয়ে এ সব শোনা যাচ্ছে । সত্যিই যদি সে রকম কিছু হয় নিশ্চয়ই সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে’। এ তো গেল তিয়াসার কথা, কিন্তু সুবান তিনি কী বলছেন?
বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় খলনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস। সুবান জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন। অভিনেতার সাফ কথা, ‘বিচ্ছেদের গুঞ্জন তো সেই কবে থেকেই শুনছি। সবাই ভালো… আমার কোনও অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে চাই না। আমি চাই মানুষ আমার কাজ নিয়ে কথা বলুক.. কাজের বিষয়বস্তু নিয়েই কথা হোক’।
যদিও সুবান-তিয়াসার দাম্পত্য সম্পর্কে তিক্ততার খবর নতুন কিছু নয়। ২০১৭ সালে আগে একটি নাটকের ওয়ার্কশপে করাতে গিয়ে তিয়াসার সঙ্গে আলাপ হয় সুবানের। তার কয়েকদিনের মধ্যেই দুই পরিবারের সম্মতিতে অক্টোবরে মাসে বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেন এই জুটি। এর আগে ২০১৯ সালের গোড়ার দিকেও খবর ছড়িয়েছিল তিয়াসা নাকি স্বামী ও শ্বশুরাবড়ির লোকজনের নামে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও সেই খবর অস্বীকার করেছিলেন দুজনেই।
তিয়াসার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে স্বামীর সঙ্গে হাসিমুখে দুজনের বহু ছবিই চোখে পড়বে। শেষ ছবিটি গত এপ্রিলের, ক্যাপশনে লেখা- ‘চলুন একসঙ্গে থাকি’। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল ইনস্টায় একে অপরকে ফলো করেন না দুজনেই। ইনস্টাগ্রামে তিয়াসা মাত্র ২৪ জনকে ফলো করেন, সেই তালিকা অনস্ক্রিন স্বামী নীল থেকে শুরু করে শ্রীময়ী চট্টরাজ রয়েছেন, কিন্তু সুবান নেই। গত এক বছরে সুবানের ইনস্টা প্রোফাইলে নেই তিয়াসার ছবিও। তা দেখেও অনেকের মনেই প্রশ্ন সত্যি কি সব ঠিক আছে দুজনের দাম্পত্য জীবনে?