যবে থেকে ধনশ্রী আর চাহালের ডিভোর্সের খবর সামনে এসেছে, তবে থেকে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে উঠে এসেছে নানা মুনির নানা মত। কারো দাবি, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ, তো কেউ বলছেন ‘গোল্ড ডিগার’ ধনশ্রী টাকার জন্য বিয়ে করেন ভারতীয় স্পিনারকে। আবার একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, একে-অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না ধনশ্রী আর যুজবেন্দ্র। এবার শোনা যাচ্ছে, আসল সমস্যা নাকি কোথায় থাকবেন সেটা নিয়ে।
বিবাহ বিচ্ছেদের আসল কারণ কী?
প্রবীণ সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানির মতে, বিয়ের পর যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী ভার্মা হরিয়ানায় বসবাস শুরু করেন। তবে কিছুদিন পরই ধনশ্রী মুম্বই চলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও. চাহাল রাজি হননি। চাহাল চেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী হরিয়ানায় তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকুক।
হরিয়ানা ও মুম্বই কি দু'জনকে আলাদা করেছে?
ভিকি লালওয়ানি পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘গাঁটছড়া বাঁধার পরে, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী হরিয়ানায় চাহালের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে গিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনে মুম্বই আসতেন। এই মুম্বই-হরিয়ানা নিয়েই দুজনের বিভেদ তৈরি হয় এবং দুজনের বিয়ে ভেঙে যায়। আসলে হরিয়ানায় বাবা-মা ও ধনশ্রীর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল।’
আরও পড়ুন: ৪.৭৫ কোটি খোরপোশ, ধনশ্রীকে ‘গোল্ড ডিগার’ বললেন রোহিত শর্মা পত্নী রিতিকা? একটা লাইক নিয়ে হইচই
খোরপোশের অঙ্ক নিয়েও বিতর্ক
বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুজবেন্দ্র চাহাল ধনশ্রী ভার্মাকে খোরপোষ হিসেবে ৪.৭৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, বিবাহবিচ্ছেদের আগে ধনশ্রীকে ২.৩৭ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। একই সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর দিতে হবে আরও ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন চাহাল এবং ধনশ্রী। আর তাঁদের আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ হল ২০২৫ সালের ২০ মার্চ। যদিও দুজনে নাকি বিয়ের মাত্র ১৯ মাসেই আলাদা থাকা শুরু করে দিয়েছিলেন। ধনশ্রী পেশায় একজন চিকিৎসক, নৃত্যশিল্পী। আর নাচের সূত্রেই প্রেমে পড়েছিলেন চাহালের।