চারদিকে ওঠা নানা ধরনের বিতর্কের কারণে কঙ্গনা রানাওয়াতের ইমার্জেন্সি পড়ে বিশ বাঁও জলে। বিভিন্ন শিখ সংগঠনের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল ছবিটি। ফলে মুক্তির দিন অবধি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে সবুজ সংকেত পায়নি। কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার নি্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ইন্ডিয়া টুডে অনুসারে, ছবিটি সিবিএফসি থেকে ইউ / এ শংসাপত্র পেয়েছে, কয়েকটি কাট সহ।
সিবিএফসি-র তরফে সবুজ সংকেত পেল ইমার্জেন্সি
রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নির্মাতাদের কিছু দৃশ্য সম্পাদনা করতে এবং কয়েকটি সিকোয়েন্সে জন্য ‘ডিসক্লেইমার’ দিতে বলা হয়েছে।
একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিবিএফসি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ছবিতে দেখানো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিরর সময় ডিসক্লেইমার দিতে বলেছে। তবে ছবির মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
ইউ/এ সার্টিফিকেট থেকে বোঝা যায় যে ছবিটি বিভিন্ন বয়সের লোকেরা দেখতে পারে, তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মা-বাবার উপস্থিতিতে।
কাটগুলির মধ্যে কমিটি পরামর্শ দিয়েছে যে চলচ্চিত্র নির্মাতারা এমন একটি দৃশ্যে সরিয়ে নিক যেখানে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশী শরণার্থীদের আক্রমণ করছে - বিশেষত, একজন সৈনিকের একটি শিশুর মাথা থেঁতলে দেওয়ার দৃশ্য এবং তিনজন নারীর শিরশ্ছেদ করা দেখানো। কমিটি একটি লাইনে উল্লিখিত একটি পরিবারের পদবি পরিবর্তন করতেও বলেছে।
বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইমার্জেন্সি সিনেমাটিকে ৮ জুলাই বোর্ডের কাছে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে ছবির ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় এটি নির্ধারত দিন ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি থেকে পিছিয়ে যায়। কঙ্গনা এই মাসের শুরুতেই ঘোষণা করেছিলেন যে, নির্মাতারা ‘সেন্সর বোর্ডের শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন’
১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
ইমার্জেন্সি সিনেমা নিয়ে বিতর্ক
সেন্সরবোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার বিলম্ব ছাড়াও, ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছে। অকাল তখত এবং শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি-সহ বিভিন্ন শিখ সংগঠন ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে শুরু করে গত মাস থেকেই।
ছবিটির কয়েকটি দৃশ্য আলোড়ন সৃষ্টি করে। যেখানে নিহত শিখ জঙ্গি জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালেকে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে আঁতাত করতে দেখা
প্রথম কয়েকটি ঝলকের কারণে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল যেখানে নিহত শিখ নেতা জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালেকে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে আঁতাত করতে দেখা গেছে।
ইমার্জেন্সি' ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা যাবে কঙ্গনাকে। চলচ্চিত্রটি তিনি লেখার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। ছবিটি এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তবে তার সময়সূচী পরিবর্তনের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তলপাড়ে, এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক। এই ছবিতে শুধু অভিনয় করেননি কঙ্গনা, পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন।