বিগত কয়েকমাস ধরেই আলোচনায় সেনগুপ্ত পরিবার। যখন থেকে যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর বিয়ে ভাঙার খবর আসে, তারপর থেকে যেন সব চোখ এই তারকা জুটির দিকেই। সঙ্গে দম্পতির দুই মেয়ে সারা ও জারাও উঠে আসছেন খবরে। তবে এবার টলিপাড়া থেকে মিলল এক খুশির সংবাদ। ২০ বছরের সারা এবার নাকি পা রাখতে চলেছেন বলিউডে।
যদিও শিশু অভিনেতা হিসেবেই ক্যামেরার সামনে কাজ শুরু সারার। ২০১৮ সালে উমা সিনেমায় তিনি কাজ করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। সঙ্গে ছিলেন বাবা যিশু সেনগুপ্তও। তারপর থেকে আর সিনেমায় কাজ না করলেও, চুটিয়ে করছেন মডেলিং। তবে সারার বলিউড জার্নি হতে চলেছে এক সুপারস্টারের হাত ধরে। আর তিনি হলেন সলমন খান। আর এই ব্রেক পাচ্ছেন তিনি মায়ানগরীতে। যা যে কোনো ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর জন্যই স্বপ্নপূরণের মতো। তার উপর সলমন খানের ব্র্যান্ড!
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই বয়সে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা সারার। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার। সমস্ত ওঠাপড়ার মাঝেও দুই মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন নীলাঞ্জনা। নিজে পেশায় একজন সফল অভিনেত্রী-প্রযোজক। নীলাঞ্জনা নিজেও তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মুম্বইতে। চুটিয়ে কাজ করেছিলেন বলিউডে। বিয়ের পরই যিশুর সঙ্গে আসেন কলকাতাতে।
কদিন আগে মেয়ের জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লেখেন নীলাঞ্জনা। যিশু-পত্নী লিখেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে তোর কাঁধে মাথা রেখে কেঁদেছি। তুই যখন বড় হলি, বুঝলাম একজন শক্তিশালী তরুণীকে মানুষ করেছি। অন্তত আমার চেয়ে শক্তিশালী। মাঝে মাঝে আমি নিজের দুর্বলতা তোর সামনে প্রকাশ করি বলে, ভাবিস না আমি দুর্বল। বা আমি তোকে রক্ষা করতে পারব না। আমার প্রথম সন্তান… তুই সবসময় আমার ছোট্ট সোনা হয়েই থাকবে। আমি সবসময় তোকে আগলে রেখেছি, ভবিষ্যতেও রাখব। আমার রাজকন্যা সারা। দুনিয়া হাত খুলে তোর জন্য অপেক্ষা করছে। কথা দিচ্ছি, মা তোর সবচেয়ে বড় চিয়ার লিডার সবসময় থাকবে। রানওয়ে হোক বা ময়দান, তোর জন্য পুরো শক্তি দিয়ে চিৎকার করবে সবজায়গাতে।’
নীলাঞ্জনা আর যিশুর বিচ্ছেদের খবর সামনে আসার পর থেকেই দেখা যায় যে, বাবা ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন সারা। যদিও কদিন আগে এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে যিশুকে বলতে শোনা যায়, ‘মেয়েদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর’। তবে বিয়ে ভাঙা বা তাঁর অন্য সম্পর্কে জড়ানোর গুজব নিয়ে মন্তব্য করা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। স্পষ্ট জবাব ছিল, একজন অভিনেতা হিসেবে তাঁর কাজই তাঁর পরিচয়। এবং চান, এই কাজ দিয়েই লোক তাঁকে মনে রাখুক।