প্রয়াত কৃষ্ণকুমার কুনাথ। শ্রোতাদের কাছে তিনি কেকে নামে বেশি জনপ্রিয়। শহর কলকাতার নজরুল মঞ্চের মতো জায়গায় শো করতে এসেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী। সেখান থেকে শো করে বেরিয়ে আসার পরই তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন কেকে। তাঁর মৃত্যুকে শোকস্তব্ধ বিভিন্ন মহল।
IndiaToday.in-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, গায়ক তার জনপ্রিয় গানগুলির একটি অ্যাকোস্টিক সংস্করণ পুনরায় রেকর্ড করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কেকে তার গানের অ্যাকোস্টিক সংস্করণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন-
এক ঘনিষ্ঠ সূত্র IndiaToday.in-কে জানিয়েছেন, ‘গায়ক তাঁর হিট গানগুলির অ্যাকোস্টিক সংস্করণগুলি প্রকাশ করার বিষয়ে ভেবেছিলেন। গায়ক তার জনপ্রিয় গান যেমন প্যায়ার কে পল এবং খুদা জানে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কেকে-এর প্লেব্যাক গানগুলি ফিরিয়ে আনার বিষয় আলোচনা চলছিল।’ আরও পড়ুন: ক্লাস ৬ থেকে বন্ধুত্ব, প্রেমিকা জ্যোতিকে বিয়ের জন্য সেলসম্যানের চাকরি করেন কেকে
খুদা জানে গায়কের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, সূত্র আরও জানিয়েছেন, ‘তাঁর কোনও রকমের শারিরীক সমস্যা ছিল না। তাঁর বন্ধুরাও এই বিষয়ে সচেতন ছিলেন। কেকে দুর্দান্ত এবং সহৃদয় মানুষ ছিলেন। একই সময়ে, তিনি শারীরিকভাবে খুব সক্রিয় ছিলেন। কেকে গান লিখেছেন এবং তার ট্র্যাকগুলির অ্যাকোস্টিক সংস্করণগুলি পুনরায় রেকর্ড করার পরিকল্পনা করছিলেন।’
গায়কের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়কের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি, অনেকেই দাবি তুলেছিলেন অনুষ্ঠানের সময়তেই শরীরে অস্বস্তি হচ্ছিল গায়কের। ভিডিয়োও শেয়ার হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে দরদর করে ঘামছেন কেকে। কখনও আবার স্টেজের পিছনে এসে জল খাচ্ছেন, রুমালে মুখ মুছছেন। একটা ভিডিয়োতে মঞ্চে উপস্থিত একজনকে বলে উঠতে শোনা যায়, ‘কী গরম’, আর তাতে হেসে সম্মতিও জানান কেকে।
এরপরই কেকে-র লাইভ শোর আয়োজন করেছিলেন যে উদ্যোক্তারা, তাঁদের দিকে উঠছে আঙুল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ন'টা নাগাদ মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছান গায়ক। সেখানেই হোটেলকর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান। হোটেল সূত্রে খবর, রুমে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী। দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।