আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে। বুধবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বুধবার রাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই বেশকিছু প্রশ্ন তাঁরা তুলেছেন। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের তোলা সেই প্রশ্নগুলিই নিজের ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরলেন পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তা।
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সেই প্রশ্নগুলি কী কী?
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ফাঁড়ির পুলিশ এই মৃত্যুর খবর পায়। কেন সে সময়ে ময়নাতদন্ত করা হয়নি?
ময়নাতদন্ত ছাড়াই কেন সকাল ১১টায় এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হয়েছিল?
আমরা বেলা ১২.১০-এ সেখানে পৌঁছাই। আমাদের ৩ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হল, কেন পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি করার পরও আমাদের দেহ দেখতে দেওয়া হল না?
ময়নাতদন্ত করতে এত সময় লাগলো কেন?
সন্ধ্যা ৬-৭টা পর্যন্ত এফআইআর করা হয়নি কেন?
পুলিশ কেন এটাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত করল?
দুপুর ১২টা থেকে ৭টার মধ্যে হাসপাতালের তরফে কেউ এটা নিয়ে কিছুই কেন বলেননি?
আমরা আমাদের মেয়ের দেহ রাখতে চেয়েছিলাম। তহে আমাদের উপর অনেক চাপ তৈরি করা হয়। তবে থানায ৩০০-৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। বাড়িতে ফিরে দেখি সেখানে আরো ৪০০ পুলিশ রয়েছে।
শ্মশানের কাজও বিনামূল্যে করা হ। বাবা হিসেবে আমাদের আমার মেয়ের দাহের খরচও দিতে দেওয়া হলনা কেন? কে বিনামূল্যে দাহ করা ব্যবস্থা করেছিল এবং কেন?
আমাদের মেয়ের দেহ যখন ভেতরে পড়েছিল, তখন ডিসি (উত্তর) টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন ডিসি (সেন্ট্রাল)। তিনি এখন মিথ্যা বলছেন কেন?
মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। শ্যামবাজারের প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়ে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, 'সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই'। ঘটনায় পুলিশের অতি-সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অপরাধীদের কড়া ভাষা আক্রমণ করে নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক। যত দিন বিচার না পাচ্ছি, আন্দোলন চলুক।' এদিন আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকেও সমর্থন করেন নির্যাতিতার বাবা-মা।