মহাপঞ্চমীতে চূড়ান্ত নাটকীয়তা আরজি করে! ফের সংবাদ শিরোনামে উত্তর কলকাতার এই মাল্টি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। ধর্মতলায় ১০ দফা দাবিতে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। তাঁদের প্রতি নৈতিক সমর্থন দেখিয়ে এদিন আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দিলেন। সিনিয়রদের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের 'গার্ড অফ অনার' জানায় জুনিয়র ডাক্তাররা।
এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করেন জুনিয়র ডাক্তার তথা অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। যিনি শুরু থেকে আরজি করের প্রতিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। কিঞ্জলের পোস্ট উপচে পড়েছে টলিপাড়ার সমর্থন। এই সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেতা দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত লেখেন, ‘শিক্ষক আর সিনিয়রদের আমরা আজীবন সেলিব্রেট করি, সেটা চলতে থাকবে’।
কিঞ্জল নন্দর পোস্ট করা ভিডিয়ো নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘দেখ কেমন লাগে’। সঙ্গে কুর্নিশ জানান সিনিয়র চিকিৎসকদের।
কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যকে তোপ দাগায় কুরুচিকর কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন মৌসুমী ভট্টাচার্য। এদিনের ঘটনা নিয়ে সরব মৌসুমীও। সিনিয়রদের গণ ইস্তফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার লড়াই সামনা সামনি’। চুপ থাকলেন না পরিচালক-অভিনেত্রী মানসী সিনহাও।
‘এটা আমাদের গল্পো’র পরিচালক সিনিয়রদের স্যালুট জানিয়ে লেখেন, ‘কান্না পাচ্ছে.. জানেন… খুব আনন্দে চোখে জল আসে তো! এই হাতে হাত রেখে লড়াই করাটা… সারাজীবন মনে রাখব’। মানসী মনে করেন 'সরকারই জন্ম দিল এই মুহূর্তটার'।
মঙ্গলবার প্রায় ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছেন। যদিও সিনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছেন যে তাঁরা চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি। আপাতত শুধু ডিউটি থেকে ‘ইস্তফা’ দিচ্ছেন। তবে তারপরও সরকার কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে তাহলে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দেওয়ার পথেও হাঁটতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু ঠিক পুজোর মুখেই তাঁরা ডিউটি থেকে ‘ইস্তফা’ দেওয়ায় আরজি করের স্বাস্থ্য পরিষেবা জোরদার ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করলেও চোখ বুজিয়ে আছে সরকার, অভিযোগ এমনটাই। গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন ৬জন জুনিয়র ডাক্তার। পরে চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো যোগ দেন। যে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার যাতে অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন ‘গণইস্তফা’ দেওয়া সিনিয়র চিকিৎসকরা।