আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণের মামলা পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার বিশেষত কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। সিবিআইয়ের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে বুধবার শহরে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক। আরও পড়ুন-‘ওর মেয়ে এখনও সুরক্ষিত…সৌরভ ভাবে মেয়েরা শুধুই এনজয় করার বস্তু', বিস্ফোরক হাসিন জাহান
'দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ' রব তুলে এদিন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করে, সেই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হতে এদিন সকালেই মুম্বই থেকে কলকাতা উড়ে আসেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।
এদিন কালো পোশাকে প্রতিবাদ মিছিলে দেখা মিলল বিবেক অগ্নিহোত্রীর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আর জি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নিতেই তাঁর কলকাতা ছুটে আসা। এদিন মমতা-সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না বিবেক। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে থেকেই এখানে ধর্ষণকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এই সিস্টেমটা শেষ করতে হবে। বাংলায় সাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী হিংসাকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাকে আবার শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে গেলে বাংলার বর্তমান সিস্টেমকে বদলাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে তো গোটা ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এফআইআর দেরিতে দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা তো লজ্জাজনক। সকালে জানা গিয়েছে, রাতে ধর্ষণ-খুনের মামলা দায়ের হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টও সেটা জানিয়ে দিয়েছে’। সব শেষে তিনি বলেন, ‘ইনাফ ইজ ইনাফ…’।
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মমতাকে গদি ছাড়ার ডাক দেন। বলেন , ‘গতকাল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে যা বলেছে তার পরও কলকাতার পুলিশ সুপার এখনও তাঁর পদে রয়েছেন। ভেবে দেখুন পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কতটা নির্লজ্জ। মুখ্যমন্ত্রী কেন পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করছেন না? আদালত আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েছে। এটা প্রমাণ করছে রাজ্য প্রশাসনের ওপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ১ শতাংশও ভরসা নেই। এর পরও নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদে বসে আছেন ও তাঁর আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’