বুধবার বম্বে হাইকোর্টের রায়ে শর্তসাপেক্ষে ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। প্রায় গত একমাস ধরে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ছিলেন রিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। পরের দিনই তাঁকে পাঠানো হয় জেলে। রিয়া জামিনে মুক্তি পেলেও ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আর্জি না-মঞ্জুর করেন বিচারপতি সারাং কোতওয়াল।
রিয়ার জামিন মঞ্জুর করে বিচারপকি বলেছেন, ‘আমি এই সওয়ালের সঙ্গে একমত নই যে মাদক সেবনের জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার অর্থ হল যে সেই অভ্যেসে উৎসাহ দেওয়া। এনডিপিএস আইনের ২৭ এ ধারা অনুযায়ী তা আর্থিক মদত দেওয়া বা আশ্রয় দেওয়া নয়।’ পাশাপাশি রিয়ার কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই, তাই এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে যে জামিনে মুক্ত থাকাকালীন তিনি কোনও অপরাধমূলক কাজ করবেন না, জানান বিচারপতি। তবে রিয়াকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল অভিযুক্তকে নিজের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এবং আগামী ১০ দিন টানা নিকটবর্তী থানায় (সান্তাক্রুজ পুলিশ স্টেশন) হাজিরা দিতে হবে। এছাড়া বৃহত্তর মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলেই আগাম অনুমতি নিতে হবে।
বম্বে হাইকোর্টের শর্ত অনুসারেই বৃহস্পতিবার সান্তাক্রুজ থানায় হাজিরা দিতে পৌঁছান রিয়া চক্রবর্তী। এদিন সাদা রঙের কুর্তা ও ডেনিম জিনসে পাওয়া গেল সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তকে।
গতকাল রিয়ার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে বলেন- 'রিয়ার গ্রেফতারি ও হেফাজত সম্পূর্ণ অযাচিত এবং আইনের নাগালের বাইরে। রিয়ার পিছনে যেভাবে তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা - সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি পড়ে গিয়েছে, তা শেষ হওয়া উচিত। আমরা সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ। সত্যমেব জয়তে।’
যদিও বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নাড়বে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এ বিষয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং বলেন, ‘এই বিষয়ে আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন যুক্ত আছে। তাই আমরা সুপ্রিম কোর্টের সামনে এই রায়কে পরীক্ষা করতে চাই।’