‘ভুয়ো প্রেসক্রিপশন’ দিয়েছিলেন। এমনই দাবি করে সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করলেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিযোগপত্রে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণ কুমারের নামও উল্লেখ করেছেন বলিউডের অভিনেত্রী।
রিয়ার অভিযোগ, সেই ‘ভুয়ো’ প্রেসক্রিপশনের ফলেই উদ্বেগ সংক্রান্ত ওষুধ পেয়েছিলেন সুশান্ত। যে সব ওষুধগুলি সামনে ছাড়া দেওয়া যায় না বলে আইনে উল্লেখ আছে। অভিযোগপত্রে রিয়া বলেছেন, ‘বেআইনি প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে।’
নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড টেলিমিডিসিন প্র্যাকটিসের নির্দেশিকার আওতায় বান্দ্রা পুলিশের কাছে সেই মামলা রুজু করেছেন রিয়া। প্রিয়াঙ্কা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের অনুরোধ জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে রিয়া জানিয়েছেন, গত ৮ জুন মুম্বইয়ে ছিলেন সুশান্ত। অথচ সেদিনই সুশান্তকে দিল্লির একটি হাসপাতালের আউটডোর রোগী হিসেবে দেখিয়ে সেই ‘ভুয়ো প্রেসক্রিপশন’ দেওয়া হয়েছিল। রিয়া বলেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা সিং ও চিকিৎসক-সহ অন্যান্যদের কাজকর্ম তদন্ত করে দেখা আবশ্যিক এবং কেন তাঁরা মৃতকে ওরকম ভুয়ো ও বেআইনি প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা উচিত।’
গত ৮ জুন সুশান্ত ও তাঁর দিদির ‘হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের’ উপর ভিত্তি করে সেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেদিনই সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রিয়া। যিনি অভিযোগ করেছেন, ‘নার্কোটিক (মাদক) বা সাইকোট্রপিক (মানসিক অসুস্থতা সংক্রান্ত ওষুধ) দ্রব্য' দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন আছে, তা ভঙ্গ করার জন্যই জালি প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়েছিল।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে চ্যাট ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল, অবসাদ ও উদ্বেগের জন্য সুশান্তকে তিনটি ওষুধ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকী সেই চ্যাটে 'মুম্বইয়ের সেরা চিকিৎসকের' সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রেও সুশান্তকে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর দিদি। যদিও প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, সুশান্তের মানসিক স্বাস্থ্যের সংক্রান্ত কোনও সমস্যার বিষয়ে পরিজনদের কোনও ধারণাই ছিল না।