প্রায় একমাসের মাথায় মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেল থেকে ছাড়়া পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। একাধিক শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বোম্বে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ৭০ পাতার রায়ে বিচারপতি সারাং কোতওয়াল জানিয়েছেন, মাদক কারবারিদের চক্রে জড়িত নন রিয়া। অভিনেত্রীর জামিন মঞ্জুরের সময় আর কী কী বলেছেন বিচারপতি, দেখে নিন একনজরে -
বোম্বে হাইকোর্টের মতে, যুবপ্রজন্মের কাছে উদাহরণ তৈরির জন্য সেলিব্রিটি বা রোল মডেলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘আমি একমত নেই। প্রত্যেকেই আইনের চোখে সমান। কোনও সেলিব্রিটি বা রোল মডেল আদালতের সামনে বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারেন না। একইসঙ্গে সেই ব্যক্তি যখন আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কোনও বাড়তি দায় চাপে না। অভিযুক্তের অবস্থা যাই হোক না কেন, প্রতিটি মামলা সেটির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিচারপতি সারাং কোতওয়াল বলেছেন, ‘আমি এই সওয়ালের সঙ্গে একমত নই যে মাদক সেবনের জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার অর্থ হল যে সেই অভ্যেসে উৎসাহ দেওয়া। এনডিপিএস আইনের ২৭ এ ধারার তা আর্থিক মদত দেওয়া বা রেখে দেওয়া নয়।’
বিচারপতি কোতওয়াল বলেন, 'উনি (রিয়া) মাদক কারবারিদের জালে জড়িয়ে নেই। তিনি যে মাদক নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাতে আর্থিক বা অন্য কোনও সুবিধার জন্য অন্য কাউকে তা দেননি। তাঁর যেহেতু অপরাধের কোনও ইতিহাস নেই, তাই এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে যে জামিনে মুক্ত থাকাকালীন তিনি কোনও অপরাধমূলক কাজ করবেন না বলে মনে হয়।'
রিয়ার সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগ নেই বলা হলেও তাঁর ভাই শৌভিক সেই চক্রে জড়িত আছেন বলে পর্যবেক্ষণ বোম্বে হাইকোর্টের। বুধবার হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, 'এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে শৌভিক শুধু যে অনেক মাদক কারবারিকে জানতেন, তাই নয়, তাদের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ ছিল। আদতে তাঁদের সঙ্গে লেনদেন করছিলেন। তাই তিনি মাদক কারবারিদের চক্রের অংশ ছিলেন।'