সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার এই মামলার সঙ্গে জড়িত কিছু তথ্য সিবিআই ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ইডি বলে সূত্রের খবর। ভারতে নিষিদ্ধ বেশ কিছু ড্রাগের সঙ্গে রিয়ার যোগসাজশের হদিশ পেয়েছে ইডি। যার সূত্র উঠে এসেছে রিয়ার ফোনে ডিলিট হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়া চক্রবর্তী। যদিও মক্কেলের উপর ওঠা ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খারিজ করলেন রিয়ার আইনজীবী।
ইডির তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই সংক্রান্ত বেশ কিছু ডেটা এবং প্রাইমা ফেসি ইনপুট ভাগ করে নেওয়া হয়েছে অপর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে এবং ঠিক কী ধরণের প্রমাণ ইডির হাতে এসেছে তা নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি।
রিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে জানান, ‘রিয়া জীবনে কোনওদিনও ড্রাগ সেবন করেননি। উনি রক্ত পরীক্ষার জন্য তৈরি রয়েছেন’।
১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৪ বছরের অভিনেতার মরদেহ। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মুম্বই পুলিশ দাবি করলেও সিবিআই এই ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম ফাউল প্লে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হল দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা যারা ড্রাগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত চালান।
সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই দু'বার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। প্রিভেনশন অফ ম্যানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। সুশান্তের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী এখনও সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েননি। সুপ্রিম কোর্টে রিয়া জানিয়েছেন ৮ জুন পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে এদিন রিয়ার বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয় যেখানে নিষিদ্ধ মাদক এমডিএম( MDMA)-র উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও কোনও এক ব্যক্তির চা,কফিতে চার ফোঁটা কোনও দ্রব্য মেশানোর কথাও বলা হয়েছে। যদিও সেখানে কোনও নামের উল্লেখ নেই।
সুশান্তের বাবা কেকে সিং রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, আর্থিক প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছেন। এফআইআরে নাম রয়েছে রিয়ার পুরো পরিবার, বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই শৌভিক চক্রবর্তীরও। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন রিয়ার ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাও।
ইতিমধ্যেই ইডির জেরা মুখে পড়েছেন শৌভিক, ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মিরান্ডা, শ্রুতি মোদীও।