সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে তাঁর গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী।বুধবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে রিয়ার পিটিশন, আপতত সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তভার। সুপ্রিম রায় আসবার পর রিয়ার আইনজীবী যদিও দাবি করেন, ‘যে কোনও তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রিয়া’। সিবিআইয়ের এফআইআরে মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে রিয়ার। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রিয়ার একটি পুরোনো ভিডিয়ো। যেখানে জলেবির প্রমোশনের ফাঁকে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন মহেশ ভাট ও রিয়া চক্রবর্তী।
মহেশ ভাট ও রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে বি-টাউনে জল্পনা কোনও নতুন নয়। এর আগেও রিয়ার সঙ্গে মহেশের বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল-যা এই তথাকথিত গুরু-শিষ্যার সম্পর্ক নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলেছিল। সম্প্রতি রিয়া-মহেশের যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা হল ইন্টারভিউ চলাকালীন রিয়ার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন জলেবি ছবির প্রযোজক মহেশ ভাট।
গুড টাইমসকে দেওয়া এই সাক্ষাত্কারে রিয়াকে বলতে শোনা গেল, কেমনভাবে তাঁর জীবনে ভালোবাসার মানে বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ছবি আমার জীবনে ভালোবাসার মানে বদলে দিয়েছে।আমার কাছে ভালোবাসা মানে এতদিন অন্যকিছু ছিল। ডেটে যাওয়া,রোম্যান্টিক সব বিষয় আর কী, তারপর এমন একটা সময় আসা যখন পাঁচ বছর পর একে অপরের খুন করতে উদ্যোগী হবে-একটা গোটা চক্র’। এরপর অভিযুক্ত নায়িকা যোগ করেন, ‘কিন্তু এখন সেটা একদম বদলে গিয়েছে। ভালোবাসা সম্পর্কে ধারণাটা এখন অনেক পরিবর্তিত, অনেক গভীর, অনেকটা বাস্তববাদী, অনেকটা যন্ত্রণাদায়ক-তাই আমার মনে হয় আজীবন আমি সিঙ্গল থাকব’।
২০১৮ সালে রিয়া চক্রবর্তী মহেশ ভাটকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে বেশ কিছু ছবি ইনস্টায় পোস্ট করেন। সেখানে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। মহেশকে বার্থ ডে'র শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নায়িকা লিখেছিলেন, শুভ জন্মদিন আমার বুদ্ধা, স্যার এটা হলাম আমরা-তুমি আমায় ভালোবাসায় আগলে রেখেছো, তুমি আমাকে দেখিয়েছো ভালোবাসা কী, তুমি আমার ডানা গুলো মেলতে সাহায্য করেছে, তুমি হলে সেই হৃদয়কে আঘাত করা আগুন যা জ্বালিয়ে দেয় প্রত্যেক আত্মাকে যা কাছে আসে! শব্দ কম পড়ে যায়..আমি তোমাকে ভালোবাসি'। পরে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে এই পোস্ট ডিলিট করে দেন রিয়া।
রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই দুবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন। তাঁর ফোন,ল্যাপটপ ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শীঘ্রই সিবিআইয়ের সাঁড়াশি চাপেও পড়তে হবে রিয়াকে। আজই মুম্বই পৌঁছানোর কথা সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের।