সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়ে গত দেড় বছরে মিডিয়ায় কম চর্চা হয়নি। তবে নিজেদের সম্পর্কে কোনওদিনই সিলমোহর দেননি সুশান্ত-রিয়া। তবে ১৪ই জুলাই সুশান্তের মৃত্যুর এক মাস পর নিজেকে সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উদ্দেশে টুইট করে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন রিয়া। বিচার চান সুশান্তের মৃত্যুর। ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাল্টে যায় পুরো ছবিটা। সুশান্তের পরিবারের তরফে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলে ভোল পাল্টে ফেলেন সুশান্তের বান্ধবী। আচমকাই মুম্বই পুলিশের উপর আস্থা বেড়ে যায় তাঁর।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নির্দেশে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, তবে এই মামলার সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছেন স্বয়ং রিয়া। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে দাবি করেছেন এই মামলার সিবিআই তদন্ত নাকি অসাংবিধানিক। কারণ যে বিহার পুলিশের এফআইআরের ভিত্তিতে সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছে সেটাই বৈধ নয়। বিহার পুলিশের জুরিসডিকশন নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই শুক্রবার সুশান্তের মৃত্যু সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির জেরার মুখে পড়েন রিয়া। এই জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক পরের দিনই নিজের আইনজীবীর মারফত মিডিয়ার সঙ্গে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন সম্পত্তি রিয়ার কাছে রয়েছে তা ভাগ করে নিলেন রিয়া!
সুশান্তের ডাইরির একটি পাতা এবং একটি সিপার বোতলের -সুশান্তের কেবলমাত্র এই দুটি জিনিস নাকি রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর কাছে। সেই ডায়রির পাতায় লেখা রয়েছে ‘কৃতজ্ঞতার তালিকা’। হ্যাঁ, সুশান্ত সিং রাজপুত নাকি কৃতজ্ঞ ছিল রিয়ার গোটা পরিবারের প্রতি। এবং সেই কথাই লেখা রয়েছে ওই ডায়েরির পাতায়।
সেই তালিকায় লেখা রয়েছে- আমি নিজের জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ, আমার জীবনে লিল্লুর থাকার জন্য কৃতজ্ঞ, আমার জীবনে বেবুর থাকার জন্য কৃতজ্ঞ, আমার জীবনে স্যারের উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞ, আমি কৃতজ্ঞ যে ম্যাম আমার জীবনে রয়েছেন এবং অবশ্যই ফাজ আমার জীবনে থাকবার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি জীবনে এত ভালোবাসা পেয়েছি'।
রিয়া জানিয়েছেন, এটা ওর (সুশান্তের) হাতে লেখা। লিল্লু হল শৌভিক, বেবু হলাম আমি। আমার বাবা-মা'কে ও স্যার এবং ম্যাম বলে ডাকত। আর ফাজ ওর পোষ্য। রিয়া জানিয়েছেন সুশান্তের ছবি ছিছোড়ের একটি মার্চেনডাইস, একটি সিপার বোতল যেটি সুশান্তের সেটি তার কাছে রয়েছে, শুধু মাত্র এই দুটি-আর কিছু নেই।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে জানিয়েছেন, ‘রিয়াকে জেরা করা হয়েছে এবং তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং উনি ইডির সঙ্গে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। উনি কোথাউ আত্মগোপন করে নেই। ওঁনাকে আবার ডাকা হয়েছে,উনি সঠিক সময়েই হাজির হবেন’।
সূত্রের খবর আগামী ১১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে রিয়ার পিটিশনের পরবর্তী শুনানি। শনিবারই সর্বোচ্চ আদালতে এই পিটিশনের পাল্টা হলফনামা দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে রিয়াকে।