২০২০ সালে অর্ধেক সময় জুড়ে গোটা দেশের সংবাদ শিরোনামে থেকেছেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংবাদ দেশবাসীকে যেমন নাড়িয়ে দিয়েছিল, তেমনই অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই রিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়। এরপর সুশান্তের মৃত্যুর জন্য প্রয়াত অভিনেতার গার্লফ্রেন্ডকে দায়ী করে রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা’ দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। দুঃস্বপ্নের ২০২০ কাটিয়ে নতুন বছরে পা দিলেন রিয়া, আর নতুন বছরে নতুন ঠিকানা খুঁজছেন সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত। দেশের তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা আপতত সুশান্ত মামলার তদন্ত চালাচ্ছে, সিবিআই, ইডি, এনসিবি তিন সংস্থার এফআইআরেই মূল অভিযুক্ত রিয়া। মাদককাণ্ডের জন্য একমাস জেলেও কাটাতে হয়েছে সুশান্তের প্রেমিকাকে। অক্টোবরে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একমাত্র সান্তাক্রুজ পুলিশ থানাতেই হাজিরা দিতেই দেখা গিয়েছিল রিয়াকে। অবশেষে রবিবার প্রকাশ্যে এলেন রিয়া।
এদিন রিয়ার পাশাপাশি দেখা মিলল সুশান্ত মামলার অপর অভিযুক্ত তথা অভিনেত্রীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীরও। তিন মাস জেলে কাটাবার পর ডিসেম্বরেই জামিনে ছাড়া পেয়েছে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার শৌভিকও।
রবিবার শহরতলিতে নতুন বাড়ির খোঁজ করতে দেখা গেল রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিককে। দিন কয়েক আগে রিয়ার বাবা-মা'কেও প্রপার্টির খোঁজ করতে দেখা গিয়েছিল। এদিন একটি আবসনের ভিতরে ফ্ল্যাট দেখতে যান রিয়া ও শৌভিক। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদিকদের উদ্দেশে রিয়া বলেন, ‘দয়া করে আমাদের পিছু ধাওয়া করবেন না’। এদিন গোলাপি রঙের পুলওভার এবং কালো প্যান্টে পাওয়া গেল রিয়াকে। করোনা আবহে মাস্কে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন রিয়া। তবে নজর কাড়ল রিয়ার পুলওভারে লেখা বার্তা- ‘Love is Power’ অর্থাত্ ভালোবাসাই শক্তি।
সান্তা ক্রুজ (পশ্চিম)-এ এসএনডিটি কলেজের কাছে অবস্থিত প্রাইম রোজ আবসনের দু'তলা থাকেন রিয়া ও তাঁর পরিবার। এছাড়াও খারে ৮৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন রিয়া, মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকাতেও রিয়ার বাবার কেনা একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
গত সপ্তাহেই সুশান্তের মৃত্যু তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ৩ পাতার চিঠির জবাব দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, 'সবরকম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কথা মাথায় রেখে-অত্যন্ত পেশাদারভাবে এই মামলার তদন্ত চালানো হচ্ছে। তদন্তের সময় সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এগোনো হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাকেই খারিজ করা হয়নি’। অর্থাত্ সুশান্তে খুনের জল্পনা কিন্তু জিইয়ে রাখল সিবিআই।