রাত পোহালেই ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগস্ট ব্রিটিশ শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় ভারত। তারপর একটু একটু করে ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির মুহূর্তে উদ্বেগের কারণ ছিল হাজারো। সেই সব কাটিয়ে আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ভারত।
জাতীয় সঙ্গীতের সুর কানে এলে একজন প্রকৃত ভারতীয়র অন্তরে ঠিক কী অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বেঙ্গালুরুর সংগীতশিল্পী এবং তিনবারের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী রিকি কেজ চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে কর্ণাটকের রাজধানীতে তাঁর জাতীয় সংগীতের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। যেখানে ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ অগস্ট ডিডিট্যাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল এই গান। রিকি তাঁর উপস্থানায় ফুটিয়ে তোলা জনগনমন অধিনায়ক কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের প্রায় ১৪,০০০ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করলেন, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
এই গানে রিকি কেজের সঙ্গত দিয়েছেন, বাঁশিবাদক পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া এবং রাকেশ চৌরাসিয়া, সন্তুর বিশারদ রাহুল শর্মা, নাদস্বরম শিল্পী শেখ মাহবুব সুবহানি এবং কালিশাবি মাহবুব, সরোদ বাদক ওস্তাদ আমান আলি বাঙ্গাশ এবং আয়ান আলি বাঙ্গাশ, বীণা শিল্পী জয়ন্তী কুমারেশ এবং শীর্ষস্থানীয় কর্ণাটকী পার্কিউশনিস্ট গিরিধর উদুপার মতো প্রতিভাধর শিল্পীরা।
কেজ পিটিআইকে জানান, ‘শীর্ষ স্তরের সংগীতশিল্পীদের’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি একটি সুস্পষ্ট পছন্দ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম যে তারা হ্যাঁ বলবে এবং আমি ভাগ্যবান যে তারা আমার সাথে কাজ করতে রাজি হয়েছে। আমার জন্য এটা খুব সহজ ছিল। তারা যে সংগীত তৈরি করে তা আমি প্রশংসা করি এবং তাদের সাথে কাজ করতে চেয়েছিলাম।’
রিকি আরও বলেন, ‘আমি যদি এমন কিছু করতাম যা আমার কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল, তবে আমি বাণিজ্যিক সংগীত তৈরি করতাম। আমি বলিউডে গান বানাবো, হয়তো। তবে যেহেতু আমি যা করতে চাই তা করছি, আমার বেশিরভাগ সংগীত পরিবেশ সম্পর্কে এবং ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব তৈরি করার বিষয়ে। সঙ্গীত মানুষকে একত্রিত করার একটি সুন্দর উপায়। সুতরাং আমি সেটাই করার চেষ্টা করি, কেবল সংগীতের মাধ্যমে আমি যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলি প্রকাশ করতে চাই তা প্রদর্শন করি না, সহযোগিতাও সামনে আনতে চাই।'