পড়শি দেশ এক প্রকার জ্বলছে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই খালি ভয়ঙ্কর সব ছবি ভিডিয়ো উঠে আসছে। ধরা পড়ছে নারকীয় সব দৃশ্য, বর্বরতার ছবি। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গোটা বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন বহু ছাত্র। আর সেই ঘটনা নাড়া দিয়ে গিয়েছে এদেশের মানুষকেও। চুপ থাকতে পারেননি তাঁরা। ব্যাড যায়নি শিল্পীরাও। তাই তো এদিন ঋদ্ধি সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই সেই সব ভিডিয়ো, ছবি শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন তাঁরা ছাত্রদের পাশে আছেন এই লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন: 'কাউকে দোষ দিচ্ছি না', শোভনের সঙ্গে বিয়ে সারা, সোহিনীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে হঠাৎ কী বললেন রণজয়?
কী লিখেছে ঋদ্ধি সেন?
ঋদ্ধি এদিন বাংলাদেশের এক নাগরিকের সেখানকার ভয়ঙ্কর ঘটনার শেয়ার করা ভিডিয়ো পুনরায় শেয়ার করেন। সঙ্গে লেখেন শামসুর রহমানের একটি লেখা। ঋদ্ধি তাঁর পোস্টে লেখেন, 'কে বা কারা আমার পথে বিস্তর কাঁটা বিছিয়ে আমাকে রক্তাক্ত দেখে বিকট ভঙ্গিতে নাচতে থাকে, ছড়া কাটে, থুতু ছিটোয় আমার দিকে। নিশ্চুপ আমি হেঁটে যেতে থাকি উঁচিয়ে মাথা অন্য কোনওখানে। অন্ধকারের কেল্লা নিশ্চিত একদিন সুশীল, সুগঠিত, বিশাল মিছিলের স্লোগানে হবে বিলীন।- শামসুর রাহমান।'
কী লিখলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ?
অনিন্দ্য এদিন আবু সায়েদ অর্থাৎ যে কোটা আন্দোলনে যে ছাত্রের বুকে গুলি করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তাঁর একটি ছবি শেয়ার করে একটি লেখা পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'লড় - না লড়তে পারলে বলো। না বলতে পারলে লেখো। না লিখতে পারলে সঙ্গ দাও। না সঙ্গ দিতে পারলে যারা এগুলো করছে তাদের মনোবল বাড়াও। যদি তাও না পারো, যে পারছে, তার মনোবল কমিও না । কারণ, সে তোমার ভাগের লড়াই লড়ছে।'
আরও পড়ুন: আম্বানিদের বিয়েতে এসে 'গো-মাতা'র সেবা শ্রেয়ার! আদর করে নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন ২ বাছুরকে
গায়ক রণজয় ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে অনিন্দিতা রায় চৌধুরী সহ আরও অনেকেই এই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। বাদ যাননি খোদ কবীর সুমন। তিনি এদিন লেখেন, 'এ হেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাঙলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি। আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তিরক্ষার জন্য আহবান করতাম। হানাহানি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।'