নিয়োগ দুর্নীতির কালো ছায়া বাড়তে বাড়তে টলিউডের উপর এসেও পড়েছে। সম্প্রতি এই কাণ্ডে বাংলার বিনোদন পাড়ার অন্যতম পরিচিত মুখ, বনি সেনগুপ্তর নাম জড়িয়াছে। ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডির তরফে তিনি ডাক পেতেই তাঁর নাম না করেই প্রকারান্তরে তাঁকে নিয়ে ভার্চুয়ালি কলম ধরলেন ঋদ্ধি সেন।
কৌশিক পুত্র বরাবর সমাজে কী হচ্ছে না হচ্ছে, কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল সেটা নিয়ে সরব থাকেন। এবারও তার অন্যথা হল না। বনি সেনগুপ্তর নাম না করেই তিনি বৃহস্পতিবার একটি পোস্ট করেন তাঁকে নিয়ে।
ঋদ্ধি লেখেন, 'সাক্ষাৎকারে গম্ভীর / উদ্বিগ্ন মুখে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ, পাশে দাঁড়ানো, সিঙ্গেল স্ক্রিনকে ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব নিয়ে বাণী দেবেন, দর্শক শুনছেন। তাদের অভিনয় কেন ভালো লাগে না সেই নিয়ে অভিমান করবেন, দর্শক শুনছেন। পরের পর একই গল্প নিয়ে ছবি করে যাচ্ছেন এবং মানতে চাইছেন না যে ছবিগুলো তাঁরা বানাতে পারছেন না, তাই নিয়ে সাক্ষাৎকারে চোখ রাঙাচ্ছেন ,দর্শক শুনছেন…তারপর হঠাৎ একদিন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ বর্তমানে ইডির দরবারে প্রবেশ পেলেন , এইবার দর্শক অবশেষে দেখছেন।'
এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, মহামারী পরবর্তী সময় যখন দর্শকদের অনেকেই ভয়, আতঙ্কে হলমুখী হতে চাননি, বড়পর্দায় এসে সিনেমা দেখতে চাননি তখন বহু অভিনেতার সঙ্গে বনিও সকলের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁরা বাংলা ছবিকে সাহায্য করে, পাশে থাকে। তবে তিনি যতই অনুরোধ করুন না তার প্রতিফলন বক্স অফিসে দেখা যায়নি। গত দুই বছরে এই অভিনেতার যে কটা ছবি মুক্তি পেয়েছে কোনও ছবিই সেই অর্থে হিট নয়। কিন্তু কাজের জন্য চর্চায় না থাকলেও তিনি কিন্তু এখন কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে চর্চায় উঠে এসেছেন। দর্শকরা এবার সবাই তাঁকে দেখছেন। সেটা নিয়েই কি তবে ঋদ্ধি তাঁকে ‘বল্লমের’ খোঁচা দিলেন?
তবে ইডির তলব পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বনি। এবং অফিস থেকে বেরোনোর পর তিনি স্পষ্টই জানান যে তাঁর সঙ্গে অন্তত দুর্নীতির বিশেষ কোনও ছায়া নেই। কুন্তলের কোনও কাজ কর্মের বিষয় তিনি কিছুই না জানতেন না বলেও দাবি করেন তিনি। হ্যাঁ এ কথা ঠিক, কুন্তল তাঁকে টাকা দিয়েছিল কিন্তু সেটা ছবি করার জন্য। কিন্তু সেই ছবি নাকি শেষ পর্যন্ত হয়নি। এই ছবির জন্য কুন্তল বনিকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন অভিনেতা। কিন্তু এটা বললেও তিনি জানান তাঁদের কাছে এটার কোনও চুক্তিপত্র নেই। কিন্তু কেন? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক এত ভালো যে কেউ চুক্তির কথা ভাবেননি।