ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অকালেই প্রাণ হারান ঋষি কাপুর। তাঁর মৃত্যু গভীরভাবে প্রভাব ফেলে কাপুর পরিবারে। সম্প্রতি, ঋদ্ধিমা কাপুর সাহনি তার বাবার মৃত্যুর পরের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, তাঁরা জনসমক্ষে হাসিখুশি দেখানোর জন্য ট্রোল হয়েছেন। আর শুধু এটা রণবীর বা ঋদ্ধিমা নন, এমনকী নীতু কাপুরও। ঋদ্ধিমা বলেন, বাইরের মানুষের জন্য বোঝা অসম্ভব ছিল তাঁদের পরিবারের এই স্ট্রাগল। ফলে কটাক্ষভরা মন্তব্য ভেসে আসত চারদিক থেকে।
ফ্যাবুলাস লাইভস বনাম বলিউড ওয়াইভস সিজন ৩- নিয়ে কথা বলার সময় গালাট্টা ইন্ডিয়াকে রিদ্ধিমা কাপুর সাহানি জানান, বাবা (ঋষি কাপুর) চলে যাওয়ার পরে যখনই কোনো ফোটোতে বা পরিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁদের আনন্দে দেখেছে মানুষ, তখনই সমালোচনা হয়েছে।
ঋদ্ধিমা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁদের মা নীতু কাপুর সকলকে সামলেছিলেন। রণবীরের দিদি জানান, ‘লোক বলত, 'বাবা মরে যাওয়ার পরেও এরা এত খুশি, আনন্দ করছে, বউটারও দুঃখ নেই কোনো'। আসলে আমাদের উপর দিয়ে কী গিয়েছে, তা জানতে তো আমাদের বাড়ির ভিতরে আসতে হত।’
ঋদ্ধিমা আরও জানান, তাঁরা জনসম্মক্ষে নিজেদের খুব শান্তভাবে তুলে ধরত। চোখেমুখে ক্লেশ থাকত না, কারণ তাঁরা কোনোভাবে চাননি তাঁদের পরিবারের ব্যক্তিগত অনুভূতি সকলের সামনে আসুক। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় যে, ঋষি কাপুরের চলে যাওয়াটা সহজ ছিল তাঁদের কাছে।
‘মানুষ বলে, এর ওর সব আছে। এর বা ওর জীবনটা অসাধারণ। কিন্তু এই মানুষগুলোর ইনসিকিউরিটি বোঝার মতো ক্ষমতা খুব কম মানুষের মধ্যেই আছে।’, এই সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায় ঋদ্ধিমা কাপুরকে।
এর আগে এই প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋষি-কন্যা জানিয়েছিলেন, বাবার মৃত্যুর পর তাঁরা একে-অপরের কাছেও নিজেদের আবেগের প্রকাশ করতেন না। তাঁর কথায়, ‘আমরা সবাই আলাদা আলাদা ঘরে গিয়ে কাঁদতাম। তারপর সামনে সবাই এমন ভাব করতাম, যেন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এই ঘটনা আমাদের পরিবারকে কাছাকাছি নিয়ে আসে।’
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০২০ সালে মারা যান ঋষি কাপুর। এরপর নিজেকে ব্যস্ত রাখতে, বহুবছর পর অভিনয়ে ফেরেন নীতু কাপুরও। রণবীরকে দেখা যায় অ্যানিম্যাল আর ব্রহ্মাস্ত্র-তে। ঋদ্ধিমা তাঁর ডেবিউ করেছেন ফ্যাবুলাস লাইভস বনাম বলিউড ওয়াইভস সিজন ৩-দিয়ে।