আলিয়া জোরে কথা বললে রেগে যান রণবীর, এমনকী স্ত্রীর লিপস্টিক পরা নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাঁর। পাঁচ বছর ধরে প্রেম করে ২০২২-এর এপ্রিলে আলিয়াকে বিয়ে করেছিলেন রণবীর। তারপরেও আলিয়ার মতো কেরিয়ার-কেন্দ্রিক মেয়েকে নিজের কথা পরিচালনা করেন রণবীর। আলিয়ার সব বিষয়েই রয়েছে তাঁর খবরদারি। আরও পড়ুন-৯ বছরের প্রেম! ডিসেম্বরে জগন্নাথ মন্দিরে বিয়ে সারবেন ‘কৌশিকির বর’, আদিত্যর পাত্রী কে?
স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব ফলানোর বিষয়টা জানাজানি হতেই তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছিলেন নায়ক। রণবীরের আচরণের সমালোচনা করে অনেকেই তাঁকে ‘নারীবিদ্বেষী’ এবং বাস্তবেই ‘আলফা মেল’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাইয়ের সমর্থনে মুখ খুলেছেন ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি। আলিয়ার ননদিনি বললেন, এইসব ব্যাপারে মোটেই বিচলিত নন তারকা দম্পতি।
জুমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমা মন খুলে কথা বলেন রালিয়া সম্পর্কে। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘তারা একে অপরকে ভালোবাসে। তারা সবচেয়ে সুন্দর শিশুকে তৈরি করেছে, রাহা। রাহা পুরোদস্তুর মিষ্টি একটা বাচ্চা। তারা চমৎকার বাবা-মা। সুতরাং, আমি মনে করি না যে লোকেরা কী বলে তা নিয়ে তারা সত্যিই চিন্তা করে’।
সাম্প্রতিক সময়ে রণবীর ট্রোলারের রাডারে এসেছিলেন যখন আলিয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যে কীভাবে রণবীর তাঁর স্ত্রীকে লিপস্টিক মুছতে বাধ্য করেছিলেন। রণবীরকে এরপর থেকেই বিষাক্ত পুরুষ ও নারীবিদ্বেষী হিসাবে দাগিয়ে দেন অনেকে।
৪৪ বছর বয়সী ঋদ্ধিমা বলেন, 'যাই হোক না কেন, মানুষের সবসময় কিছু বলার থাকবে। আর এ কারণেই তাদের 'ট্রোল' বলা হয়'। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে রণবীর-আলিয়া একসাথে সুখী এবং এটিই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কাপুর পরিবারের অপর দুই মেয়ে করিনা-করিশ্মার মতো বলিউডে কেরিয়ার গড়েননি ঋদ্ধিমা। বরং তিনি নিজের জুয়েলারি ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের শো ‘ফ্যাবুলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইফস’-এ দেখা মিলেছে তাঁর। সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমাকে 'নেপো প্রোডাক্ট' বলার পাশাপাশি তাঁর নাকউঁচু মনোভাবের বুলি হওয়া নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি ওরকম কিছু নই। আমি খুব সহজ সরল মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতে ভালোবাসি। আমি খুব কমই বাইরে যাই; আমি খুব কমই সামাজিকতা করি। আমি ট্রোল নিয়েও মাথা ঘামাই না। লোকজনের মুখ থাকলে কথা তো হবেই। আমি পাত্তা দিই না। মানুষ সবসময় বাজে কথা, নেতিবাচক কথা বলে আসছে, কিন্তু কেন নেতিবাচকতা আপনার কাছে আসতে দেবে? আপনি সমস্ত ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করুন।’