বন্ধু ভেবেছিলেন তাঁকে, বাড়িতেও এসেছিলেন সেই বন্ধু, কোটি টাকার দাবি শুনেও পিছপা হননি। বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছেন টাকা। কিন্তু তারপরেও কী হল! সব খুইয়ে বসে রয়েছেন রিমি সেন। দীর্ঘদিন ধরে বলিউড থেকে নিখোঁজ রিমি সেন। হাঙ্গামা, গরম মসলা, ফির হেরাফেরি এবং গোলমালের মতো বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে দর্শকদের মন জয় করেও হঠাৎ করেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন রিমি। আজকাল নিজের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য ফের লাইমলাইটে উঠে এসেছেন রিমি।
রিমি সেন তার বন্ধু যতীন ব্যাসের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের মার্চ মাসে একটি প্রতারণার মামলা করেছিলেন। তাঁর বন্ধু আজিজের বিরুদ্ধে ৪.১৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে মামলা করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, যতীন রিমিকে তাঁর নতুন এলইডি লাইটিং ফার্মে বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি। এবার সাক্ষাৎকারে সেই পুরো ঘটনা খোলসা করে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। যতীনের সঙ্গে কীভাবে এবং কখন তাঁর দেখা হয়েছিল, সবটাই। রিমি সেন জানিয়েছেন, বোম্বে হাইকোর্টে এই মামলার বিচারাধীন। শীঘ্রই এ বিষয়ে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
যতীনের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় হয়েছিল
রিমি জানিয়েছেন, প্রায় ৩-৪ বছর আগে যতীনের সঙ্গে আমার জিমে পরিচয় হয়েছিল। তিনি আমার ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, কিন্তু তিনি যে বন্ধু সেজে এইভাবে আমার সঙ্গে প্রতারণা করবেন ভাবতে পারিনি। তিনি সত্যিই একজন প্রতারক এবং আমি শুনেছি যে সে আহমেদাবাদেও অনেককেই প্রতারণা করেছেন যতীন। এই বিষয়ে আমার অনেক টাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে এবং তাছাড়া এটি কিছুটা ব্যক্তিগতও। অভিনেত্রী আরও বলেছেন, আমার বাড়িতে বন্ধু হিসেবে এসেছিলেন। তিনি আমার ও আমার মায়ের সঙ্গে ডিনারও করেছিলেন। বোঝাই যায়নি কিছু। এই ধরনের ব্যক্তিদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার জন্য আমি এই মামলাটি দায়ের করেছি। কারণ মুম্বইয়ের পর তিনি আবার অন্য শহর বেছে নেবেন, সেখানে গিয়ে একটা বাড়ি ভাড়া করবেন, একটা সুন্দর গাড়ি ভাড়া করবেন, এইভাবে নিজের বড় ব্যবসা দেখিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেবেন। এই বিষয়টিই আর চলতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন রিমি।
তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি
রিমি বলেছেন, আমি দেড় বছর আগে খার থানায় এফআইআর করেছিলাম। এবং সম্প্রতি সিআইডি ইউনিট নাইন থেকে একটি ফোন করে আমায় জানানো হয়েছে যে আমার মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। দয়া নায়ক জি এই মামলার দায়িত্বও রয়েছেন এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি ন্যায়বিচারই করবেন। আমার আইনজীবী মিলন দেশাই তদন্তের গতি বাড়াতে হাইকোর্টেও আবেদন করেছেন। রিমি সেন আরও বলেছেন, হাইকোর্ট যতীনের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ভারতে তাঁর কোনও সম্পত্তি নেই। তিনি কেবল নিজের স্ত্রী বা মায়ের নামে জিনিসপত্র কিনেছেন। তবে জানা গিয়েছে, দুই একদিনের মধ্যে হাইকোর্টে চার্জশিট দাখিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এরপর সেই সময় যতীন বিদেশে থাকলে তাঁকে ইন্টারপোলে পাঠানো হবে পুলিশের কাজ।