জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধীরে ধীরে মন কাড়ছে দর্শকদের। সিরিয়ালের বয়স বেশি না হলেও, টিআরপি-র দৌঁড়ে বেশ তড়তড় করে এগিয়ে চলেছে ঊর্মি আর সাত্যকির প্রেমটা! সঙ্গে সরকার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যও মন কেড়েছে দর্শকদের।
মাঝে রিনিকে নিয়ে ঊর্মি আর সাত্যকির মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল দর্শকদের। তবে এবার মিটেছে সব ভুল বোঝাবুঝি। রিনিও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এখন রিনি আর ঊর্মি হয়ে উঠেছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। তাই তো টুকাইয়ের সাথে হানিমুনে রিনিকেও নিয়ে যেতে রাজি ঊর্মি।
যদিও উর্মি-সাত্যকির মাঝে রিনির এই বাড়াবাড়ি এন্ট্রি মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না দর্শকরা। তাঁদের সাফ কথা, এখনও স্পষ্ট বোঝা যায় রিনি মনে মনে পছন্দ করে টুকাইকে। তাই সে অর্থে ঊর্মির সতীন রিনি। এভাবে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হচ্ছে না একেবারেই।
এই ধারাবাহিকের সবচেয়ে বড় ইউএসপি হল একান্নবর্তী পরিবারের দুর্দান্ত সমীকরণ। ধারাবাহিকের নায়িকা ঊর্মি বড়লোক বাড়িতে বেশ বিলাসিতার সাথে বড় হলেও, মধ্যবিত্ত সংসারে খুব কম দিনেই মানিয়ে নিয়েছে। তার বড় মনের পরিচয় পেয়ে ভালোবেসে ফেলেছে দর্শক। পাগলাটে, খ্যাপাটে ঊর্মি আর বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলা সাত্যকির প্রেমও টাই সকলের বড়ই পছন্দ!
আসলে গোটা পরিবারের তরফ থেকেই ঊর্মি আর সাত্যকিকে হানিমুনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ঊর্মির দাবি সে বাড়ির সকলকে নিয়েই হানিমুনে যাবে। ঊর্মিকে হানিমুনের আসল অর্থ বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে ছোট দাদু মুমুকে তাদের সাথে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু ঊর্মির দাবি আরেকজনকেও চাই তার। সেটা হল রিনি। বেস্টফ্রেন্ড রিনিকে ছাড়া সে কিছুতেই হানিমুনে যাবে না।
এখন দর্শক মনে প্রশ্ন, এভাবে দলবেঁধে গিয়ে আদৌ হানিমুনটা হবে তো?