সোমবার কাকভোরেই এল দুঃসংবাদ। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের দুনিয়ায় ইন্দ্রপতন! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই চলে গেলেন 'কত্থক সম্রাট' বিরজু মহারাজ। বেশ কিছু দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ৮৩ বছর বয়সী এই নৃত্যশিল্পী। নিময়িত ডায়ালিসিসও চলছিল, রবিবার রাতে বাড়িতেই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
পণ্ডিতজির মৃত্যুতে শোকের ছায়া দেশজুড়ে। প্রধামন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে বলিউড ব্যক্তিত্বরা শোকপ্রকাশ করেছেন এই কিংবদন্তি নৃত্যগুরুর মৃত্যুতে। এদিন বিরজু মহারাজের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'ভারতীয় নৃত্য শিল্পকে গোটা বিশ্বের দরবারে বিশেষ সম্মান এনে দেওয়া বিরজু মহারাজজির মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেলাম। ওঁনার চলে যাওয়াটা কলা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। শোকার্ত এই সময়ে আমার সমবেদনা ওঁনার পরিবার, পরিজন এবং অনুরাগীদের সঙ্গে রয়েছে। ওম শান্তি!
অভিনেতা অনুপম খের ন্যাশন্যাল স্কুল অফ ড্রামায় পণ্ডিতজির সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করেছেন। কত্থক নাচের এই কিংবদন্তি শিল্পীকে সচোক্ষে পারফর্ম করতে দেখাটাই কত বড় আর্শীবাদ সে কথা জানান অনুপম খের। অভিনেতা যোগ করেন, ‘উনি (বিরজু মহারাজ) আমাকে বলতেন- তোর চোখে অনেক দুষ্টুমি আছে’।
সংগীত শিল্পী আদনান সামি বিরজু মহারাজকে ‘জিনিয়াস’ বলে উল্লেখ করেন। সঙ্গে জানান, ‘খুব দুঃখ পেলাম কিংবদন্তি কত্থক নৃত্যুশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজজির প্রয়াণের খবর পেয়ে। …. আগামী অনেক প্রজন্মকে উনি অনুপ্রাণিত করবেন। ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি’।
বিরজু মহারাজের নাতনি রাগিনী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, ‘গত কয়েক মাস যাবত ওঁনার চিকিত্সার চলছিল। কাল রাতে ১২.১৫-১২.৩০ নাগাদ আচমকাই ওঁনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ১০ মিনিটের মধ্যেই আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু তার মধ্যেই উনি আমাদের ছেড়ে চলে যান’।
ঠাকুরদার হাসি মুখটাই মনে রাখতে চান রাগিনী। গ্যাজেটের প্রতি খুব টান ছিল পণ্ডিতজির। নাতি-নাতনিদের হামেশাই তিনি বলতেন, ‘ডান্সার না হলে আমি মেকানিকই হতাম’।