বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসা পাওয়ার পর অবশেষে দর্শকদের জন্য মুক্তি পেতে চলেছে 'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন'। গত ডিসেম্বরে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরমা বিভাগে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছে এই ছবি। তবে কেবল রাজ্য বা দেশে নয়, বিদেশেও মাটিতেও ছবিটা দারুণ ভাবে প্রশংসা পেয়েছে। এই ছবির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কারও। তবে বহুদিন ধরেই দর্শকরা অপেক্ষায় ছিলেন অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। চলতি মাসের ২৮ তারিখ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে।
ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অভিজিৎ চৌধুরী। ছবিটি নিবেদন করছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। যৌথ প্রযোজনায় ফোর্থ ফ্লোর এন্টারটেনমেন্ট ও কনসেপ্ট কিউব। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ঋষভ বসু। তাছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন বাদশা মৈত্র, কোরক সামন্ত, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিকা পাল, যুধাজিৎ সরকার, আনন্দরূপা চক্রবর্তী, দীপক হালদার, শান্তনু নাথ, অরুণাভ খাসনবিশ, সেঁজুতি মুখোপাধ্যায় এবং প্রেরণা দাস।
আরও পড়ুন: 'রিজেকশন খুব কম এসেছে আমার জীবনে…', কাজ থেকে অঙ্গনার সঙ্গে প্রেম, অকপট রোহন
'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন' মূলত একটি ক্রাইম ড্রামা ও সায়েন্স ফিকশন জঁরের চলচ্চিত্র। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব নিজের প্রেমিকা রিমির পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে এক জটিল মুহূর্তের সম্মুখীন হয়। ধ্রুব বুঝতে পারে রিমিদের জন্য টাকা জোগাড় করতে গেলে তাঁকে একটা অপরাধ করতে হবে। কিন্তু রিমি চায় না ধ্রুব কোনও খারাপ কাজ করুক। ধ্রুবকে দুটোর মধ্যে যে কোনও একটা পথ বেছে নিতে হবে। কোন পথে যাবে সে? তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মুক্তির। সমাজের চোখে কোনটা অপরাধ এবং কোনটা নয় - নৈতিকতার এই টানাপোড়েনে ধ্রুবর জীবন কখনো ডুবে যায় , কখনও ভেসে ওঠে। চারটে অধ্যায়ে সিনেমাটি ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভাবনার গল্প বলে। এটাই এই ছবির বিশেষত্ব।
পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলছেন, ‘ক্ষমতাবান আর ক্ষমতা শূন্যদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাদের মধ্যবিত্ত জীবন প্রায়শই একটা প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়ায় - আদর্শ আঁকড়ে থাকা না লড়াই করা - কোন পথে যাব ? 'ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন' ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভবনার চারটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে। চারটে অধ্যায়ে চারজন কিংবদন্তি বাঙালি শিল্পীকে সম্মান জানানো হয়েছে - যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য , বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়।'
আরও পড়ুন: 'আমি যে সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, নতুনদের সঙ্গে যেন তেমনটা না ঘটে', অকপট সৌরভ
ঋষভ বসু বলছেন, ‘অভিজিৎদার সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সব সময়ই খুবই ভালো। কারণ অভিজিৎদার সঙ্গে আমার একটা অদ্ভুতরকমের বোঝাপড়া আছে। অভিজিৎদা যেটা বোঝাতে চায় সিনেমার মাধ্যমে, অভিনেতা হিসাবে আমি সবসময় চেষ্টা করি সেটাই ফলো করে চরিত্রের মনস্তত্ত্বটা তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই ছবিটা করার সময় আমরা অনেকবারই বসেছি স্ক্রিপ্ট নিয়ে, ওয়ার্কশপ করেছি এবং বাকি সহ অভিনেতাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি দৃশ্যগুলোর কোরিয়োগ্রাফ নিয়ে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাঁচ ছিল আমাদের জন্য। খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ একটা পরিবেশে ওয়ার্কশপ হয়েছে, টিম ওয়ার্ক ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।’