ঋষি কৌশিকের তরফে একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট এসে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই চারদিকে। কদিন আগে নাম না করে, গল্পের ছলে এক অত্যাচারিত স্বামীর গল্প শুনিয়েছিলেন। সেখানে এমন কিছু ক্লু ছেড়ে গিয়েছিলেন, যা দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করে, কারও বুঝতে অসুবিধে হয়নি, ঋষি কৌশিক নিজের ও নিজের স্ত্রী দেবযানীর গল্পই করছেন। ইতিমধ্যেই অবশ্য, দেবযানী আইনি সাহায্য নেওয়ার ঘোষণা করেছে।
তারই মাঝে ফের একবার বিস্ফোরক ঋষি। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘চোখ বিক্রি করে আমি এই শহরে এসেছি। চারদিকে তাই কাউকে দেখি না। পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আমি আর ভালো-মন্দ কিচ্ছু শুনি না। তাও মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই শহরে। একজনকে বললাম, এই খারাপ লাগার কারণ কী? বললেন, বোকা ছেলে সব বিক্রি করেছো, বিবেকটা বিক্রি না করলে তো এমন হবেই...’
‘এরপর এই শহরে আমি একজন ভালো ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছি। কয়েকজনকে পেয়ে বললাম, একটা বিবেক ছিল। খুব কমে বেচতে চাই। নেবেন ভাই? বললেন, মাথা খারাপ! আমরা এই মাত্রই নিজেদের বিবেকও বেচে দিয়ে এলাম।’, আরও লেখেন ঋষি। যদিও এই পোস্টটি সংগৃহিত সেটাও উল্লেখ করে দিতে ভুললেন না। হয়তো নিজের জীবনের সঙ্গের মিলের কারণেই তা শেয়ার করা সোশ্যালে।
বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক ঋষি কৌশিক
দিন ১০ আগে, ঋষি কৌশিক নাম না করেই ফেসবুকে লেখেন, ১২ বছরের বিবাহিত জীবনের একদম শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলেন, এই বিয়েটা করা ভুল হয়েছে। এমনকী, তিনি যে বিয়ে করতে চাননি, তাঁকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে, সেটাও বলে দিতে ভোলেননি। এরপর জানান, কীভাবে তাঁর স্ত্রী ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্ত। এমনকী, লোকের কাছে লক্ষ্মীমন্ত বউ সেজে থাকলেও, অফিসের পরে বন্ধুদের নিয়ে পার্টিতে মজে থাকে। শুধু তাই নয়, বাইরের লোকের কাছে নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণ করার চেষ্টাও করে।
গোটা বিষয় নিয়ে দেবযানীর বক্তব্য
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন দেবযানী। তিনি লম্বা একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘এ বিষয়ে প্রথমেই আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রতিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অন্যায্য এবং কাল্পনিক। এগুলি করার একমাত্র কারণ আমার সামাজিক সম্মানহানি করা, আমার ক্ষতি করা এবং পোস্টদাতার নিজের নীচ উদ্দেশ্য সাধন করা। দেশের আইনের প্রতি আস্থা রাখা কোনো ভদ্র মানুষের যদি আদৌ এধরনের কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি কোর্টে যাবেন সেই সমস্যা সমাধানে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনগণের মতামত নিতে যাবেন না। এটি আমার ওপর করা তার দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতার আর একটি অধ্যায়। আমার ধৈর্য্য আর সহনশীলতার অন্যায় সুযোগ নিয়ে এটি করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি আইনী পরামর্শ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বেশি বলার মতো অবস্থায় আমি নেই।’