কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে তাঁদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেই নিমন্ত্রণের মেনুতে ছিল এলাহি আয়োজন। সেসময় অভিনেত্রীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে লম্বা একটা পোস্ট করেছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। আর এবার কাঞ্চন-শ্রীময়ী কন্যা কৃষভিকে দেখতে নিজেই তাঁদের বাড়িতে হাজির ঋতুপর্ণা। তবে শুধু তিনি একা নন, ছেলে অঙ্কনকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী।
‘টলি কুইন’এর বাড়িতে আসা এবং ছোট্ট কৃষভিকে আদরে ভরিয়ে দেওয়ার ছবি ফেসবুকের পাতায় নিজেই পোস্ট করেছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁর পোস্টে ছোট্ট কৃষভিকে কোলে নিয়ে আদরে ভরিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে ঋতুপর্ণাকে। কাঞ্চন কন্য়ার পরনে হলুদ রঙের সুন্দর একটা ফ্রক, তার ছোট্ট ছোট্ট পায়ে নূপুর, যদিও ইমোজি দিয়ে কায়দা করে মেয়ের মুখ ঢেকেছেন 'মা' শ্রীময়ী।
আরও একটি ছবিতে ঋতুপর্ণাকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যাচ্ছে বিধায়ক-অভিনেতার স্ত্রীকে। তাঁর পরনে লাল রঙের টি-শার্ট আর শর্টস। এক্কেবারেই ঘরোয়া বাড়ির পোশাকেই দেখা গেল নতুন মাকে। আর অন্য ছবিগুলিতে শ্রীময়ীর মা-বাবা ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে ছবি তুলতে ও পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রীর ছেলে অঙ্কন চক্রবর্তীও। শুধু 'ঋতুদি' নন, অঙ্কনের ব্যবহারেও মুগ্ধ শ্রীময়ী চট্টরাজ।
আরও পড়ুন-এলাহি আয়োজন! কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালেন ঋতুপর্ণা, কী ছিল মেনুতে?
লম্বা পোস্টে শ্রীময়ী চট্টরাজ লেখেন, ‘ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি, শুধু লেখার জন্য লিখিনি। মন থেকে যা উপলব্ধি করেছি সেটাই ব্যক্ত করেছি, কারণ আমরা তো এখন মানুষের ভালো জিনিস, মানুষের ভালোগুন ,মানুষের ভালো কাজ নিয়ে কথা বলতে ভুলে গেছি, কীভাবে লোকের খুঁত বের করা যায়, ছোট করা যায় কীভাবে লোকের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করা যায়, এটাই আমাদের বেশি লক্ষ্য, অথচ সবাই সেটা করে না। একচুয়ালি যাদের কোন কাজ নেই তারাই এটা করেন। যাকগে প্রসঙ্গে আসি ঋতু দি, ঋতুদির সঙ্গে আমি একজন নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে, দিদির মত করে যতই আড্ডা মারি, আড্ডা যেন কম পড়ছে, তাঁর শিক্ষা, তাঁর সহবত, তাঁর জীবন দর্শন, তাঁর অভিজ্ঞতাকে আমি কুর্নিশ জানাই।’
ঋতুপর্ণার ছেলেকে দেখেও অভিভূত শ্রীময়ী লেখেন, ‘কাল (শুক্রবার) যখন ঋতু দি এলো আমাদের বাড়িতে,আমি খুব খুব খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে আরও বেশি উপরি পাওনা হলো ঋতুদির ছেলে। কারণ আমি তো এই জেনারেশনের ,আর ঋতুদির ছেলে আমার ভাতৃসম, আমি ওকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যে ছেলেটির বড় হওয়া,পড়াশোনা ,সংস্কৃতি সবটাই বিদেশ থেকে, এখন সে এসেছে মায়ের কাছে দেশে। তুমি চাও বা না চাও ,তুমি অস্বীকার করতে পারবেনা that he is a star kid। শুধুমাত্র একজন সেলিব্রিটির সন্তান সে নয়, একজন সুপারস্টার ব্লকবাস্টার, যাঁর ঝুলিতে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড আছে, এরকম একজন অভিনেত্রীর সন্তান সে। এখানে তার ব্যবহার, তার কথাবার্তা, তার sense of humor is too good, and also he is a good writer।’
মুগ্ধ শ্রীময়ী আরও লেখেন, ‘সর্বোপরি মা ও ছেলের সাথে কr মিষ্টি সম্পর্ক হতে পারে, সেটা নিজের চোখে না দেখলে আমরা বিশ্বাসই করতাম না,এই জন্যই কথায় আছে গাছ যদি ভাল হয়, ফল ভালো হতে বাধ্য। সেটারই প্রমাণ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং তার সন্তান।’
কাঞ্চন পত্নীর কথায়, ‘আমরা যতই বড় বড় কথা বলি, কিন্তু শিক্ষা,পড়াশোনা ম্যাটার করে ভালো মানসিকতার মানুষ তৈরি হতে। শুধু আমি নই আমার মা,বাবা তাঁরাও তো কখনো ভাবেওনি যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে এত কাছ থেকে দেখবেন এবং দেখার পর তাঁদের যা উপলব্ধি হল তাঁরাও এখনো আপ্লুত। আড্ডাটা কালকে রাত তিনটেই শেষ হয়ে গেছে , তবে এখনো শুধুই তাদেরকে নিয়ে গল্প হচ্ছে।'
সবশেষে তিনি লেখেন, 'সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে আমার ছোট্ট কৃষভি। ঋতুদির কোলে উঠে, তার জীবনের এই ছবিটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। ও যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে, ছবিটা দেখে খুব আনন্দ পাবে। আমি চাই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো অভিনেত্রী আরো অনেক অনেক অনেক সিনেমা আমাদেরকে উপহার দিক। জানিনা অনেকে জানেন কিনা ঋতুদি অসাধারণ লেখেন। Rituparna Sengupta is an inspiration in my life as a woman, a daughter, a wife, a Daughter-in-law, a mother, a superstar, a social worker, a writer, a producer,,Love you so much Ritu Di.....’।