আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ অগস্টের রাত দখলের সময় শঙ্খ বাজানোর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর তাতেই চটে লাল হয় জনগণ। এমনিতেই ডিউটিরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা রক্ত গরম করে দিয়েছিল সাধারণ মানুষের। দেখা যাচ্ছে, মাস দুই কেটে গেলেও, এখনও টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীর উপর থেকে রাগ পড়ছে না সাধারণ মানুষের।
পুজোর ফোটোশ্যুটের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন ঋতুপর্ণা সোমবারে। যেখানে কখনো শাড়ি তো কখনো কো-অর্ড ড্রেসে সেজেছিলেন তিনি। তবে কমেন্ট সেকশনে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একাংশ যেমন ঋতুপর্ণার সৌন্দর্যের তারিফ করেছে, তেমন কেউ আবার আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে করেছে ট্রোল।
আরও পড়ুন: দেখা মিলল না রাহুলে, মা-ছেলের জমজমাট দুর্গা ঠাকুর দেখা, সহজের ছবি তুলে দিল প্রিয়াঙ্কাই
এক নেট-নাগরিক মন্তব্য করলেন, ‘তোমাকে দেখে মনেই হয় না বয়স বাড়ছে’! আরেকজন লেখেন, ‘মিষ্টি দিদি’। তো কেউ আবার ট্রোল করে লিখলেন, ‘ন্যাকামো…আনলিমিটেড’। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘শঙ্খদিদি’। আবার তৃতীয়জন লিখলেন, ‘বুড়ির লজ্জা নেই’।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই শ্যামবাজারে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে বিচার চাইতে পথে নেমেছিলেন তিনি। তবে সেখানে অভিনেত্রীকে দেখেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁকে শারীরিকভাবে আক্রমণও করা হয়।
এরপর সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানান, ‘আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে, তবে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার গাড়িতে জুতো ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত।’
আরও পড়ুন: আরজি কর ঘটনা নিয়ে ‘চালচিত্র’ সিনেমা বানিয়েছেন প্রতীম ডি. গুপ্তা? বিতর্ক বাড়তেই মুখ খুললেন পরিচালক
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন একটা সংখ্যক মদ্যপ-ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঋতুপর্ণার দাবি, হঠাৎ করে আসা একটা জনস্রোত তাঁকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। এতটাই চিৎকার-চেঁচামিচি হচ্ছিল যে তিনি কিছু শুনতে পাচ্ছিলেন না।