তিনি এখন চর্চা, বিদ্রুপের কেন্দ্রবিন্দুতে যে সে কথা বলাই যায়। কিন্তু সেসবকে উপেক্ষা করেই এদিন ধনদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। লক্ষ্মীপুজোয় জাঁকজমক না হলেও, ঘরোয়া ভাবে লক্ষ্মীর আরাধনা করলেন তিনি। জানালেন এদিন পুজোর পরই তিনি উড়ে যাবেন সিঙ্গাপুর।
আরও পড়ুন: শুনেছি, আপনি জেলে বসেও জুম কল করছেন', লরেন্স বিষ্ণোইকে আলাপচারিতার আমন্ত্রণ সলমনের প্রাক্তন সোমির
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের লক্ষ্মীপুজো
প্রতিবারের মতো এই বছরও বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। না, তবে কোনও আড়ম্বর ছিল না এই বছর। তার বদলে তিনি এইবার শাশুড়ি এবং স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে পুজো করলেন। নিজের হাতেই দেবীকে সাজিয়ে, ভোগ নিবেদন করেন। পুজো করেন।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এদিন জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি এদিনই সিঙ্গাপুর উড়ে যাবেন। সেখানে গিয়েও তিনি লক্ষ্মীপুজো করতে পারেন। কিন্তু চাইলেন তিনি দেবীর কাছে এবার পুজো দিয়ে? এই বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, 'মাকে জানালাম শান্তি, সুরক্ষা, বিচার দাও। সব যেন নির্মূল হয় আমাদের জীবনে যা ঘটছে সবের। মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা করলাম যাতে বিচার আসে।'
আরও পড়ুন: জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল ইমারজেন্সি, কবে মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনার ছবি?
প্রসঙ্গত সম্প্রতি আসানসোল কার্নিভাল এবং কলকাতার রেড রোডের কার্নিভালে নাচ করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এরপরই তাঁকে বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। বিদ্রুপ সইতে হয়। যদিও সেসব নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। উল্টে টিভি নাইন বাংলাকে স্পষ্ট জবাবে জানিয়েছেন, 'আমি একজন শিল্পী। শিল্পসত্তা নিয়েই আমার জীবন। আমার বিবেক, আমার বোধ কারও কাছে জমা রাখিনি। অনেক বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে আমার আজকে এই অবস্থান। আজও একইভাবে পরিশ্রম করি। আমার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি। আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং বিধ্বস্ত তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে। যেসব ডাক্তাররা অনশন করছেন তাঁদের নিয়েও চিন্তিত। আমার ভিতরের কষ্ট বা প্রতিবাদ আমার কাছেই রাখতে চাই। আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাই না। কারণ যাঁরা সব কিছু এত খারাপ চোখে দেখেন আর এত বিরূপ মন্তব্য করেন, তাঁদের কোনও সুযোগ দিতে চাই না।'