বোর্ডিং টাইমের থেকে সামান্য দেরিতে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিলেন ঋতুুপর্ণা সেনগুপ্ত। তখনও বিমান না ছাড়লেও, বিমানে ওঠার অনুমতি পাননি অভিনেত্রী। সেই রাগে-কষ্টে কেঁদেও ফেলেনম তিনি। বারবার অনুরোধেও কাজ না হওয়ায় ইন্ডিগোকে ট্যাগ করে লম্বা পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তখন কেউ কেউ ঋতুপর্ণার হয়ে, ইন্ডোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও, অনেকেই দাবি করেছিলেন বোর্ডিং টাইমের মধ্যে এয়ারপোর্টে না প্রবেশ করলে এরকম সব যাত্রীর সাথেই করা হয়ে থাকে। অভিনেত্রী তারকা হলেও, তাঁকে এই নিয়ম মানতে হবে। সাথে তিনি বোকা বোকা রাগ দেখাচ্ছেন বলেও দাবি করেন সমালোচকরা। সাথে ব্যক্তিগত আক্রমণও হয়।
বৃহস্পতিবার ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিগোর কাস্টমার সার্ভিস টিমের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে, সাথে জানানো হয়েছে তাঁরা চান এই ব্যাপারে ঋতুপর্ণার কী কী অভিযোগ ও বক্তব্য আছে তা শুনতে। সাথে অভিনেত্রীর থেকে জানতে চাওয়া হয় কোন সময়ে তাঁকে ফোন করলে পাওয়া যাবে তাও।
এই টুইটই ঋতুপর্ণা শেয়ার করেন ইনস্টায়। সাথে জানান, তাঁর এই লড়াই সকলের জন্য। যাতে আর কাউকে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। সাথে এটাও জানান, তিনি জানেন অনেকে তাঁকে নিয়ে ট্রোল করছে। কিন্তু সেসবে তিনি ভাবিত নন। তিনি নিজের পোস্টে আরও জানান, ফ্লাইট ওড়ার ২৫ মিনিট আগে গেট বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক নয়। ক্ষতিকারক যাত্রী ও সংস্থা দুইয়ের জন্যই।
যদিও অভিনেত্রীর এই দাবির সাথে সম্মতি প্রকাশ করেননি অনেকেই। বরং, অনেকেরই মত ঋতুপর্ণা শুধুমাত্র পাবলিসিটি-র জন্য বারবার এমন পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ আবার টেনে এনেছেন প্রসেনজিতের কথা। যেভাবে তিনি সুইগি নিয়ে টুইট করে মমতা আর মোদীকে ট্যাগ করেছিলেন সেটা নিয়েও খিল্লি হয়। একজন লেখেন, ‘দাদা-বউদি দু'জনেই তো পুরো দমে। একজন সুইগি নিয়ে ট্যাগ করে মমতা-মোদীকে। আরেকজন নিজে ভুল করে ক্ষমতার জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।’ একজন লিখেছেন, ‘আপনাকে যত দেখছি তত বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া মেয়ের কথা মনে পড়ছে। যারা স্কুলে নিজের দোষে বকা খেত, তারপর বাবাকে ডেকে এনে হেডমাস্টারের সামনে শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করত টাকার জেরে।’