অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর একমাস হয়ে গেলও বিতর্ক কমার নাম নিচ্ছে না। বরং, সেই বিতর্কের আগুনে যেন রোজ রোজ ঘি পড়ছে। এর মূলে আছে বছরকয়েক আগে অভিষেকের বলা কতগুলি কথা। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ‘অপুর সংসার’ শো-তে এসে অভিষেক বলেছিলেন কীভাবে ইন্ডাস্ট্রির এক ‘দাদা’ (পড়ুন প্রসেনজিৎ) আর এক ‘দিদি’ (পড়ুন ঋতুপর্ণা) তাঁর টলিউড কেরিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে। একের পর এক ছবি থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল!
অভিষেক মারা যাওয়ার সপ্তাহখানের পরেই এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ‘ভুয়ো খবর’। যাতে বলা হচ্ছিল আর্থিক কষ্টে ভুগছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। যার ফলে অর্থসাহায্য করেছেন অনেকে, যাতে নাম ছিল ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিতেরও।
এরপর এই নিয়ে সোচ্চার হন অভিষেক-পত্নী সংযুক্তা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন ঋতুপর্ণা বা প্রসেনজিতের (যদিও নাম মুখে আনেননি) থেকে তিনি ফোনই পাননি কোনও সমবেদনা জানাতে, তাই অর্থ সাহায্যের প্রশ্নও আসে না! আরও পড়ুন: তরুণ অভিষেকের ভিডিয়ো শেয়ার শ্রীলেখার, বউ সংযুক্তাকে ট্যাগ করে লিখলেন…
এবার সরাসরি সংযুক্তার কথার প্রতিবাদ করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘আমি শুনলাম অভিষেকের মৃত্যুর পর নানা বির্তক হয়েছে আমি নাকি সমবেদনা জানাই নি এমন কথাও উঠেছে। নিজে ওঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি, এমনকী ওঁর স্ত্রী জানালো সেদিন ওঁ শ্যুটিংয়েই যেতে চায়নি। যাই হোক, আমি চাইব এই জন্মে ওঁর মনে যা ক্ষোভ ছিল তা মিটে যাক। যেমন জ্বলজ্বল করত এই জন্মে, পরের জন্মেও যেন তাই করতে পারে!’
অভিষেক মারা যাওয়ার পর ঋতুপর্ণা ধরা গলায় জানিয়েছিলেন, ‘অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আমাদের বাংলা সিনেমার জগতকে অনেক কিছু দিয়ে গিয়েছে। আমি চাই দর্শক যেন অনেক সম্মানের সাথে তাঁকে মনে রাখে। একসময় এত ছবি করেছি ওর সাথে, ঠিক মনেও নেই কত ছবি করেছি… শেষের দিকে আমাদের যোগাযোগ কমে গেছিল। সেভাবে কথা হত না। ওর মনে অনেক ক্ষোভ ছিল। অনেক না পাওয়া ছিল। জানি না সেগুলো নিয়ে কতটা আক্ষেপ ছিল। তবে আজকে ও যেখানে গেছে সেখানে হয়তো ওগুলোর জায়গা নেই। তাই আমি চাইব ও যেখানে গেছে সেখানে অনেক ভালো থাকুক। শান্তিতে থাকুক।’