ঘনিষ্ঠের মৃত্যুতে মনখারাপ করা পোস্ট করলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শুধু তিনি নন, বাংলা বিনোদন জগত ও সাংবাদিক মহলের অনেকেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বলছে, তাঁদের চোখে আজ জল ভরা। কারণ, প্রয়াত হয়েছেন এক প্রথম সারির বাংলা দৈনিকের বর্ষীয়ান চিত্র সাংবাদিক সুপ্রিয় নাগ। বহুদিন ধরে তাঁর একনিষ্ঠ কাজের ফলে তৈরি হয়েছিল নিজস্ব এক পরিচিতি। সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার তো আছেই। তাই বিশ্বাসই করতে পারছেন না ঘনিষ্ঠরা, সুপ্রিয় আর নেই।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখলেন, ‘তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। ভাবতে পারছিনা সুপ্রিয়দা .. দুদিন আগেই আমার জন্মদিনে এসে উইশ করল... কতদিনের বন্ধন... দাদার মতো...জানি না কী বলব...যেখানেই থাক, ছবি তুলো সুপ্রিয়দা’।
১১ নভেম্বর, সোমবার প্রয়াত হন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। রোজকার মতো সোমবারও তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। ছবিও তোলন। তারপর দুপুরের দিকে হঠাৎ অস্বস্তি। কিছুটা সামলে নিয়ে যাত্রা করেছিলেন বাড়ির পথে। তবে শেষ রক্ষা আর হল না। ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন।
রাস্তায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লে, কয়েকজন চিত্রসাংবাদিক তাঁকে তাঁর শোভাবাজারের বেনেটোলার বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে বাড়িতে ঢোকার পরেই, সিঁড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান। বাড়ির সদস্যরা, চিকিৎসককে খবর দিলে, তাঁরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
চিত্র শিল্পী হিসেবে বিশেষ সুখ্যাতি ছিল বিনোদন জগতের দুনিয়ায়। টলিউড-বলিউডের বহু শিল্পীদের ছবি ফ্রেম বন্দি হয়েছে তাঁর লেন্সে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর তোলা পোট্রেটেরও বিশেষ চাহিদা ছিল। তারকারা পছন্দও করতেন না। বহুবার তাঁর তোলা ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। দু’বার বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়াও সুপ্রিয় নাগকে নিয়ে পোস্ট করেছেন বহু তারকা। তাঁর সঙ্গে তোলা একটি সেলফি শেয়ার করে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, ‘সাল তারিখ মনে নেই, তবে ক্যামেরার সামনে আমার কেরিয়ারের যত বয়স, একদম ছোটবেলাটা বাদ দিয়ে, সুপ্রিয়দার সঙ্গে আমার পরিচয়েরও তত বয়স। কর্মক্ষেত্রে সচরাচর এত ভদ্র, মিষ্টি স্বভাবের, অমায়িক, রুচিশীল, শিক্ষিত, কেয়ারিং এবং নিজের কাজে ১০০ শতাংশ পারদর্শী দাদা-বন্ধু-সিনিয়র-অভিভাবক পাওয়া যায় না।আমি পেয়েছি। আমরা পেয়েছি। এভাবেই মনে থেকে যেও তুমি। তোমার কথা past tense এ বলতে ভালো লাগছে না সুপ্রিয় দা।এটাই আমাদের একসঙ্গে শেষ তোলা ছবি.. গত বছর.. আমাদের ছাদে..। তারপর অনেকবার দেখা হয়েছে, তুমি যথারীতি আমার ছবি তুলেছো, কিন্তু একসঙ্গে আর ছবি তোলা হয়নি। আর হবেও না।এটা রইলো।The Scavenger of Dreams এর পরের শো এ আসবে বলেছিলে। আর দেখানো হলো না তোমাকে সিনেমা টা। শান্তিতে যাও সুপ্রিয় দা।’