রবিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সোমবার বিধানসভায় তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান পারিবারিক বন্ধু অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ঋতুপর্ণার। এমনকী উত্তর কলকাতার বিধায়কের সাথেও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। সোমবার শেষ দেখা দেখতে যান বিধানসভায়।
সোমবার ঋতুপর্ণা যখন বিধানসভায় যান, তখন সেখআনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতুপর্ণাকে বিধানসভার ভিতরে ডেকে নিয়ে যান ‘দিদি’। দু'জনে মিনিট পাঁচেক কথাও বলেন।
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা জানান, ‘শ্রেয়া, সাধনদা আমার পরিবার। আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। খুবই বড়মাপের মানুষ ছিলেন। শেষদিন অবধি মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। ওঁর চলে যাওয়া একটা শূণ্যতা তৈরি করল। আমার কাছে এই ক্ষতি ব্যক্তিগত, কারণ এই মমতা, ভালোবাসা আর তো কারও কাছে পাব না। শুধু প্রার্থণা করি উনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কী কথা হল জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, তিনি প্রথমবার বিধানসভায় এলেন বলে ‘দিদি’ তাঁকে ভিতরে ডেকে নেন ঘুরে দেখার জন্য। সঙ্গে ঋতুপর্ণা জানান, মুখ্যমন্ত্রীরও খুব মন খারাপ। অনেকদিন পর দেখা দু'জনের। তাই বসে একটু কথা বলেই চলে আসেন। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করতে চান কি না প্রশ্ন করা হলে ঋতুপর্ণার উত্তর, ‘না এরকম কোনও কথা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন সাধন পাণ্ডে। মুম্বইয়ে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয়। তাঁর পর রাতে মরদেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সোমবার তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে শায়িত রাখা হয়েছিল বিধানসভায়।