কটাক্ষ, সমালোচনা সব কিছু উপেক্ষা করে শনিবার বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় আর্টিস্ট ফোরামের অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর জি করের নির্যাতিতা তরুণীর জন্য প্রথম দিন থেকে বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অভিনেত্রী। কিন্তু দেশের বাইরে থাকায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে পারেননি। এদিন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানালেন। আরও পড়ুন-রং ভুলে BJP নেত্রী রূপার হাত ধরলেন দেব! মোমবাতি জ্বেলে আর জি করের নির্যাতিতার বিচারে সরব TMC সাংসদ
মোমবাতি জ্বালিয়ে এদিন মৃতার আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি তাঁর সুবিচারের দাবি জোরালো করলেন ঋতুপর্ণা। মিডিয়াকেও এড়িয়ে গেলেন না অভিনেত্রী। শাঁখ বাজিয়ে ট্রোল হওয়া প্রসঙ্গে কড়া অবস্থান নায়িকার। তিনি বলেন, ‘আমার কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। আমি কীভাবে পাশে আছি, কীভাবে পাশে থাকব সেখানে আমার অভিপ্রায়টাই আসল। প্রথম দিন থেকে আমি সুবিচারের দাবি জানিয়ে আসছি, আমাকে কে কী বলল তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমি নিজের প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি, জানাতে থাকব। আমার ভিতরটা কতটা কষ্ট পাচ্ছে, কতটা কাঁদছে সেটা আমি জানি। আমার আস্থা আছে আমরা সুবিচার পাব, দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পাবে অপরাধীরা।’
মেয়েদের সুরক্ষার জন্য় নাইট শিফট থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার মমতা সরকারের প্রস্তাবকে ‘অ্যাবসার্ড’ বলে উল্লেখ করেন ঋতুপর্ণা। এদিনও ট্রোলিং পিছু ছাড়েনি ঋতুপর্ণার। কেউ বলল, ‘পুরোটাই নাটক’, কেউ লিখল- ‘লোক দেখানো প্রতিবাদ’। শাঁখ বাজানোর প্রসঙ্গ টেনে এক নেটিজেন লেখেন, ‘এখন একবার শঙ্খ টেস্ট হতে পারে কী?’
যদিও ঋতুপর্ণা স্পষ্টতই জানিয়েছেন কোনও বিদ্রুপ বা কটাক্ষকে গায়ে মাখবেন না তিনি। অভিভাবক বুম্বাদা শহরের বাইরে, ফোরামের কার্যকরী সভাপতি জিৎও কাজের সূত্রে কলকাতায় না থাকায় আর্টিস্ট ফোরামের ডাকা এই অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেননি। তবে মঞ্চে পাওয়া গেল সমুন্ত মুখোপাধ্যায়, অলকানন্দা রায়ের মতো বর্ষীয়ান শিল্পীদের। ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়. পাওলি দাম, চৈতি ঘোষাল, দিগন্ত বাগচী, দেবলীনা দত্ত, অর্জুন চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তীরা।
ওদিকে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে এবং অচলাবস্থা কাটাতে আজ, শনিবার আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের পরেও মিলল না সমাধান সূত্র, কর্মবিরতি অব্যাহত থাকছে।