কাঞ্চন মল্লিক গত ২ সেপ্টেম্বর একটি ধর্না মঞ্চ থেকে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তারপরই তাঁকে বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। পরে ক্ষমা চেয়েও লাভ হয় না। আবারও তিনি ট্রোল্ড হন তাঁরই সহকর্মীদের কাছে। বাদ যান না সাধারণ মানুষও।
আরও পড়ুন: 'মুম্বই করে বলে এখানেও করতে হবে?' টলিউডের বিরুদ্ধে 'অভিমান' প্রকাশ কুণালের, জবাবে কী বললেন পরমব্রত?
কাঞ্চনকে কটাক্ষ করে কী লিখলেন ঋত্বিক এবং অনির্বাণ?
কাঞ্চন মল্লিক ২ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকদের বোনাস পাওয়া নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। বাদ দেন না তাঁদের পুরস্কার পাওয়া বা মাইনে নিয়ে কথাও বলতে। সেই ঘটনার পর নেটিজেনরা তুলোধোনা করেন তাঁকে। সুদীপ্তা, বিদীপ্তা, সুজন নীল, দেবনাথ, ঋত্বিক, প্রমুখের মতো অভিনেতারাও তাঁকে 'জবাব' দিতে ছাড়েন না। বেগতিক দেখে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষমা চান উত্তরপাড়ার বিধায়ক। কিন্তু তাতে ক্ষতয় প্রলেপ পড়েনি। উল্টে আবারও বিদ্রুপের শিকার হতে হয় এদিন কাঞ্চন মল্লিককে।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে ক্ষমা চাওয়ার পরই নতুন পোস্ট করে তাঁকে বিঁধলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। এদিন ঋত্বিক লেখেন, 'বাজারে চা দোকানের লোকটা সিরিয়াস গলায় বলল - যখন ব্যাঙ ফোঁস করে তখন দেখবি একটু পরে নিজের থুতু নিজেই চেটে নিচ্ছে।'
অনির্বাণ চক্রবর্তী এদিন তবে ফেসবুকের পাতায় লেখেন, 'সোনা, তোমার বারবার ভুল হয় কেন এত? ভুল করো আর ক্ষমা চাও, একগাদা বিশ্বাস করুন বলতে হয় বাক্যের মাঝে! শুনতেও তো বাজে লাগে।'
আরও পড়ুন: কলেজ স্কোয়ার টু ধর্মতলা, আরজি করের বিচার চেয়ে স্বস্তিকা - সৃজিতদের সঙ্গে পথে নামল শিশুরাও
কে কী বলেছেন?
অনেকেই এই দুই অভিনেতার পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'আসলে আমরা বলি না যে ব্যাক্তিগত জীবন আর রাজনীতি এক নয়, এটা একেবারে ভুল। যে মানুষটা ব্যক্তি জীবনে এত নিম্নরুচির পরিচয় দেয় সে রাজনীতির ক্ষমতা পেলে এরকমই হবে। মানুষ ভালো না হলে সে কোনও ভূমিকাতেই সৎ থাকবে না।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ঠিক বলেছেন এখনো অভিনয় করে যাচ্ছে, এত ক্ষমাপ্রার্থী তাহলে পদত্যাগ করুক।' তৃতীয়জনের মতে, 'উনি কালিঘাটের ঘন্টা, যে পারছে বাজিয়ে চলে যাচ্ছে।' চতুর্থ জন লেখেন, 'আপনাকে যত দেখছি, প্রতিদিন শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ এক অসম্ভব গুণী শিল্পীর পাশাপাশি আপনার একটি মেরুদণ্ড আছে, যা ইস্পাতকঠিন। আপনাকে দেখলে মনে হয়, না এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। এরকমই থাকবেন স্যার। প্রণাম।' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'যখন শিক্ষিত মানুষ পিছনে পরে, এমন সুন্দর সুন্দর ভাষার প্রয়োগ করেই প্রতিবাদটা হয়।'