বাংলাদেশের রাজশাহীতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঋত্বিক ঘটকের। ছোটবেলার অনেক সময়ই তিনি সেখানে কাটিয়েছেন। এবার তাঁর স্মৃতি বিজড়িত সেই বাড়িকেই ভেঙে ফেলা হল।
আরও পড়ুন: 'জানি আমার আরও খারাপ হাল করবেন', মধ্যরাতে আরজি কর পৌঁছে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ শ্রীলেখার
কী ঘটেছে বাংলাদেশে?
ঋত্বিক ঘটকের ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশের রাজশাহীতে। আর এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বর্তমানে সেই বাড়ির আশেপাশে কেবল ইট পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বাড়ির কোনও চিহ্ন মাত্র নেই।
রাজশাহীর মিয়াপাড়ায় অবস্থিত ছিল ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়িটি। এখানেই তাঁর জন্ম, বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকে যৌবনের অনেকগুলো দিন মেঘে ঢাকা তারার পরিচালক এই বাড়িতেই কাটিয়ে ছিলেন। গত ৬ এবং ৭ তারিখে এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়।
গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসেন বোনের সঙ্গে। তারপরই বাংলাদেশে একপ্রকার অরাজকতা শুরু হয়। দিকে দিকে হিন্দুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হতে থাকে। খুন করা হয় তাঁদের। বাদ যায় না বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিনিস। বাংলাদেশ থেকে যেন তাঁর যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আর তখনই ভেঙে দেওয়া হয় ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি।
আরও পড়ুন: 'শাসক ভয় পায় কেন?', 'রাত দখল' - এর রাতেই আরজি করে প্রবল ভাঙচুর, প্রতিবাদে সরব ঋত্বিক - অঙ্কুশ
এদিন এক ব্যক্তি ঋত্বিক ঘটকের সেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া বাড়ির ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি লেখেন, 'নব্য-স্বাধীন বাংলাদেশের রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের শৈশবের বাড়িটা ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হল।' অনেকেই সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'দীর্ঘদিন আমরা এই বাড়ির পাশের বাড়িতে থাকতাম। ১৮-১৯এ এটাকে রক্ষাও করেছিলাম। এবার এই জায়গা ইজারা নেওয়া হোমিওপ্যাথি কলেজের প্রিন্সিপাল ভেঙে দিল কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আমরাও রাজশাহী শহর ছেড়েছি ৫ বছর হলো।' আরেকজন লেখেন, ‘আমার বাড়ির পাশে প্রেমেন্দ্র মিত্রর বাড়ি, সেটা বছর দশ আগে ফ্ল্যাট হয়ে গেছে।’