বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > মৃত্যু হবে আয়রন ম্যান-এর, শুনে হাউহাউ করে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র!

মৃত্যু হবে আয়রন ম্যান-এর, শুনে হাউহাউ করে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র!

'আয়রন ম্যান' শব্দটির সঙ্গে প্রায় সমর্থক হয়ে উঠেছে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এর নাম। (ছবি সৌজন্যে -ইউটিউব)

২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম'। বাকিটা ইতিহাস।টারা বেনেট এবং পল টেরির লেখা নতুন বইয়ে উঠে এসেছে 'অ্যাভেঞ্জার্স' সিরিজের ছবির শ্যুটিংয়ের নানান অজানা ঘটনা।

২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম'। বাকিটা ইতিহাস। বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল সেই ছবি। বক্স অফিস উপচে প্রযোজকের ঘরে ঢুকেছিল মোটা লাভের অংশ। দর্শকদের মন ভরালেও পাশাপাশি কাঁদিয়েওছিল রুশো ব্রাদার্স পরিচালিত বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম প্রতীক্ষিত এই ছবি। ছবি শেষে 'অ্যাভেঞ্জার্স' ছবির সিরিজের অন্যতম প্রধান এবং জনপ্রিয় সুপারহিরো আয়রন ম্যান তথা তিনি স্টার্কের মৃত্যুর দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বজুড়ে থাকা তাঁর কোটি কোটি অনুরাগীদের। আয়রন ম্যানের ভূমিকায় হলিউড তারকা রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের অভিনয়ের অকুন্ঠ তারিফ করতে বাধ্য হয়েছিল তাবড় তাবড় ছবি সমালোচকের দলও। তবে জানেন কি 'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম' এর স্ক্রিপ্ট সেশনে চিত্রনাট্য পড়ে বিহ্বল হয়ে গেছিলেন 'টনি স্টার্ক' স্বয়ং? শেষমেশ যখন পরিচালক জুটির থেকে জানতে পারলেন যে ছবি শেষে মৃত্যুবরণ করবেন আয়রন ম্যান তখন হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র!

'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম' ছবির মৃত্যু দৃশ্যে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। (ছবি সৌজন্যে -ইউটিউব)
'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম' ছবির মৃত্যু দৃশ্যে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। (ছবি সৌজন্যে -ইউটিউব)

টারা বেনেট এবং পল টেরির লেখা 'দ্য স্টোরি অফ মার্ভেল স্টুডিওজ: দ্য মেকিং অফ দ্য মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স' বইটিতে 'অ্যাভেঞ্জার্স' সিরিজের ছবির বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ পরিচালক জুটি রুশো ব্রাদার্স শ্যুটিংয়ের নানান অজানা, চোখ কপালে তোলা ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন। সে প্রসঙ্গেই বইয়ের এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন এই ঘটনার। 

তাঁরা জানিয়েছেন ছবির স্ক্রিপ্ট রাইডিং সেশনে নিজের অভিনীত সবথেকে প্রিয় চরিত্রের এই পরিণতি শুনে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। অস্ফুটে কোনওরকমে বলে উঠেছিলেন তাঁর এই চিত্রনাট্য দারুণ পছন্দ হয়েছে। তবে ঠিক করে কথাও বলতে পারছিলেন না 'টনি'। দু'চোখ তাঁর ভেসে গেছিল জলে। আর তখনই পরিচালক জুটি বুঝেছিলেন এই ছবি সুপারহিট। কারণ একবার যখন তা রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের ভালো লেগেছে তাহলে তাঁরা নিশ্চিত ঠিকপথেই এগোনো হচ্ছে। 'আয়রন ম্যান' এর অনুরাগীদেরও নিশ্চয়ই তা ভালো লাগবে!

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে 'আয়রন ম্যান' ছবির মাধ্যমে 'অ্যাভেঞ্জার্স' সিরিজ নামের এই বিরাট কর্মকান্ড একা হাতে শুরু করেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। সেখান থেকে ১০ বছরেরও ওপর সময় ধরে এই 'ইনফিনিটি' সিরিজের গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে বয়ে এনেছেন এই হলি-তারকা। অবশেষে 'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম' ছবির একেবারে শেষে এই বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয় টনি স্টার্ক। সঙ্গে মানবজাতির ত্রাস তথা ভিনগ্রহের জীব থ্যানসকেও মেরে ফেলে সে।

বন্ধ করুন