মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক থামছে না। আর এই আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই আচমকা চর্চায় রোদ্দুর রায়। কারণ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করেন এই বিতর্কিত ইউটিউবার। এরপর রোদ্দুর রায়ের নামে পাটুলি থানা ও লালবাজার সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন কিছু তৃণমূলকর্মী।
কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই স্বয়ং রোদ্দুরের। তিনি এদিন একটি ফেসবুক লাইভ করলেন স্বমহিমায়। গিটার হাতে গান গাইলেন, শব্দচয়ন নিয়ে ফের থাকল বিতর্ক। গানের প্রতিটি লাইনেই আক্রমণ ও অশালীন শব্দের প্রয়োগ। এখানেই শেষ নয় লাইভে শেষে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিমায় মধ্যমা উঁচিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি।
লাইভে ফের তিনি কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, লাইভে শেষে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিমায় মধ্যমা উজিয়েছেন তিনি। গান, শব্দে ঠারেঠোরে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
‘কবিতা বিতান’ বইটির জন্য বাংলা আকাদেমির তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই সম্মানকে কটাক্ষ করে নিজের লেখা ছড়া ফেসবুকে তুলে ধরেন রোদ্দুর রায়। কবিতার নাম থেকে শুরু করে প্রত্যেক লাইনে অশালীন শব্দ রয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে কুরুচিকর আক্রমণের প্রেক্ষিতেই দায়ের করা হয় এই অভিযোগ লবাজারে রোদ্দুরের নামে অভিযোগ করেছেন বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে দাবি করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক ও কর্মী হিসেবে। অন্য দিকে পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অরিত্র সাহা। দু'জনেরই দাবি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি করা হয়েছে। তাঁরা রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে সেই নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই রোদ্দুরের। বরং তাঁর এই ‘কীর্তি’ নিয়ে লেখা সংবাদের লিঙ্ক নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে শেয়ার করে চলেছেন বীরদর্পে।
এর আগেও বহুবার রবীন্দ্র সংগীতের বিতর্কিত প্যারোডি বানিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রোদ্দুর রায়। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে, তবে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ করে বিতর্কের রেশটা একটু বেশিই বাড়িয়ে দিয়েছেন রোদ্দুর রায়।