সবকিছুর হ্যাপি এন্ডিং হয় না। এটাই কঠিন বাস্তব তা মেনে নিতে হয়। কিন্তু জীবনে মতো গল্পেও যখন সব ভালো হয় না, তখনই মন খারাপ ঘিরে ধরে দর্শকদের। শেষ হচ্ছে শ্রীময়ী, এই খবর শুনেই মন ভেঙেছে অনুরাগীদের, তার উপর গল্প ফুরানোর আগেই বিরাট ধাক্কা! আট থেকে আশি সবার প্রিয় রোহিত সেনের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে চোখের জল আটাকয়নি কারুর। রোহিত সেনের মৃত্যু যেন কাছের মানুষকে হারানোর মতোই শোকের শ্রীময়ী ভক্তদের কাছে।
রোহিতের মৃত্যুর খবরে কেঁদে ভাসাচ্ছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা, সে খবর গিয়েছে টোটা রায়চৌধুরীর কানে। তাঁর গলাতেও বিষন্নতা, তবে আনন্দের রেশও আছে। আসলে একটা চরিত্র যখন এভাবে জীবন্ত হয়ে উঠে সেটাই তো অভিনেতার সেরা পুরস্কার। যদিও এই বৃদ্ধার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। রোহিত সেনের মৃত্যু দেখানোর প্রতিবাদের ঝড় ফেসবুকে। কটূক্তির মুখে পড়ছেন ধারাবাহিকের কাহিনিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। শ্রীময়ী-রোহিত সেনকে আলাদা করে মোটেই ঠিক কাজ করেননি লেখিকা, দাবি নেটিজেনদের।
স্তব্ধতা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসুবকের দেওয়ালে ফ্যানেদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন টোটা। লিখলেন, ‘গত আটচল্লিশ ঘণ্টা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। রোহিত সেনের মৃত্যু যে আপনাদের এভাবে প্রভাবিত ও শোকাহত করবে সেটা আমরা কেউই অনুমান করতে পারিনি। আমি তো নয়ই। আপনাদের নিখাদ ভালোবাসার জন্য আজীবন কৃতজ্ঞ রইবো। আপনারা ভালো থাকবেন। আবার হয়তো জীবনের কোনো মোড়ে আপনাদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে। তখনও যেন একইরকমভাবে আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা প্রাপ্তি হয়’।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কলম নিয়ে টোটার মনে কিন্তু একবিন্দুও সংশয় নেই। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘লীনাদি যা ভাল বুঝেছেন, করেছেন। কারণ, ওঁর কলমের জোরেই রোহিত সেন আজ সবার ঘরের ছেলে।’
নিজের মৃত্যু দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে কোনওদিন খুব বেশি অস্বস্তি বোধ হওয়া বা খারাপ লাগা কাজ করে না টোটার। কিন্তু দর্শকদের জন্য খুব মন খারাপ তাঁর। অন্যদিকে বাড়ির লোকের প্রতিক্রিয়া কী? হাসিমুখে জানালেন, তাঁর শাশুড়ি মা শ্রীময়ীর নিয়মিত দর্শক। জামাইয়ের মৃত্যু পর্দায় দেখতে পারবেন না, তাই আগেভাগেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।