বিগত কয়েক মাস ধরে চর্চায় আছেন ধনশ্রী বর্মা ও যুজবেন্দ্র চাহাল। যদিও দুজনের ডিভোর্স ফাইনাল হয়েছে গত সপ্তাহেই। আর আদালত থেকে বেরনোর সময়, চাহালের সেই ‘বি ইয়োর ওন সুগার ড্যাডি’ লেখা দেখে কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি, ঠিক কী ইঙ্গিত করছেন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিনার। ডিভোর্সের খোরপোশ বাবদ ৪.৭৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে ধনশ্রীকে।
তবে ধনশ্রীর এই খোরপোশ নেওয়া নিয়ে যখন তাঁকে কটাক্ষে ভরিয়েছে নেটিজেনরা, সেইসময় রোহিত শর্মা পত্নীর একটা লাইক যেন বদলে দিল সব হিসেব নিকেষ।
কী এমন করলেন রিতিকা সচদেহ?
যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদের খবরের মধ্যে, একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল যেখানে ইউটিউবার-পডকাস্টার শুভঙ্কর মিশ্র নিন্দা করেছেন ধনশ্রীর এবং বলছেন যে, লোকেরা তাঁকে যে গোল্ড ডিগার বলছে, সেটা উচিত! আর দেখা গেল, রিতিকা পোস্টটি ‘লাইক’ করেছেন। যার থেকে বোঝা যায়, তিনি আপাতদৃষ্টিতে ধনশ্রীর এই মোটা অঙ্কের খোরপোশ নেওয়ার নিন্দাই করেছেন।
ভিডিয়োতে শুভঙ্কর বলেছেন, ‘ধনশ্রীর কেসে, ধনশ্রীকে নিজের দ্বিতী জীবন শুরু করতে বেশ মুশকিলেই পড়বেন। চাহালের ভক্তরা ওঁকে ট্রোল করবেন। যদিও হাতে টাকা থাকবে, যা একটা আলাদ ক্ষমতা দেবে। তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন আসে, 'তাহলে এটা তো বলা উচিত নয় যে, আমি একজন সেলফ মেড ওম্যান'!’
ধনশ্রী-চাহালের ডিভোর্স:
২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন চাহাল এবং ধনশ্রী। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজেদের ডিভোর্স পিটিশনে চাহাল এবং ধনশ্রী জানিয়েছেন যে ২০২২ সালের জুনে তাঁদের ‘বিচ্ছেদ’ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ খাতায়কলমে ১৯ মাসেই তাঁরা আলাদা হয়েছেন। যদিও আইনি ভাবে এই তারিখ হল, ২০২৫ সালের ২০ মার্চ।
সংবাদমাধ্যম বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রীকে খোরপোশে ৪.৭৫ কোটি দেবেন চাহাল। আদালত জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দিয়েছেন ভারত তথা পঞ্জাব কিংসের তারকা স্পিনার। যে অঙ্কটা হল ২.৭৩ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় কিস্তিতে দিয়ে দেবেন বাকি টাকাটা।